সঠিক ইতিহাস তুলে আনলে পুরস্কৃত করা হবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, যারা পুরোনো পরিবারের সঠিক ইতিহাস তুলে আনতে পারবেন তাকে পুরস্কৃত করা হবে।
বুধবার (০৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় গ্রন্থাগার ভবন মিলনায়তনে ‘অ্যাডভান্স আর্কাইভাল রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট ও আধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স ১১ তম ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কে এম খালিদ বলেন, আমি আমার বাবা, দাদা ও বাবার দাদা পর্যন্ত পরিবারের হিসেব খুঁজে পাই। এর আগে আর হিসেব খুঁজে পাই না। আমরা যদি পরিবারের পেছনের দিকের ইতিহাস খুঁজতে পারি তখন দেখা যাবে- ৫০০ বছর আগে আমার গ্রামের বাড়ি ছিল রাজশাহী। দেখা গেল আমার আদিপুরুষরা ছিল শ্রমজীবী। এটা অসম্ভব কিছু নয়।
পারিবারিক ইতিহাস খোঁজার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা পারিবারিক ইতিহাস খোঁজা শুরু করুন। সঠিক ইতিহাস হলে তা আর্কাইভের অংশ হয়ে যাবে। কেউ যদি বলেন, ৩০০ বছরের পুরোনো ইতিহাস খুঁজে পেয়েছি। সেক্ষেত্রে সঠিক হলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।
অনুষ্ঠানের আর্কাইভাস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর মহাপরিচালক ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গ্রন্থাগার পরিচালক আশরাফ ইমাম।
পরে অ্যাডভান্স আর্কাইভাল রেকর্ড ম্যানেজমেন্টে ২১ জনকে ও আধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় ২৫ জনকে প্রশিক্ষণ কোর্স সনদ দেওয়া হয়।
অ্যাডভান্স আর্কাইভাল রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণার্থীদের ফলাফল মূল্যায়নে প্রথম হয়েছেন খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি অ্যান্ড আর্কাইভ ইনচার্জ রোজিফা আক্তার, সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট (আর্কাইভস), আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর খুজিস্তা রুবাইয়াত দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়া আধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণার্থীদের ফলাফল মূল্যায়নে প্রথম হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাচোল টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের লাইব্রেরিয়ান ফারুক আব্দুল্লাহ, দ্বিতীয় হয়েছেন সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কুড়িগ্রামের লাইব্রেরিয়ান হাসমত আলী ও তৃতীয় হয়েছেন সাতক্ষীরা শ্যামনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজের লাইব্রেরিয়ান মো. সাব্বির হোসেন।