সিটি ব্যাংকের ঋণমান ‘ট্রিপল এ’
ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংক পিএলসির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে হয়েছে ‘এসটি ওয়ান’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সিটি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল একই। ৩১ মার্চ ২০২৫ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৩৩ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ব্যাংকটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে সিটি ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৫৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ৭৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩৯ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে সিটি ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ২১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৪২ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে সিটি ব্যাংক। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে সিটি ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৯৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ৫৮ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৮ টাকা ২১ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে সিটি ব্যাংক। এর মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক ও সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৫৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ২৭ পয়সায়।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫২ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৪৬০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৩৯৫। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০ দশমিক ৩৬, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ৭৭ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
