বাজেয়াপ্ত মাছের পোনা প্রাকৃতিক জলাশয়ে ছেড়ে দেয়া যাবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
বেআইনিভাবে ধরা, উৎপাদন ও পরিবহনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে জব্দের পর বাজেয়াপ্ত করা মাছের পোনা ও চিংড়ির লার্ভা কাছাকাছি উপযুক্ত প্রাকৃতিক জলাশয়ে ছেড়ে দেয়া যাবে।
এজন্য ‘প্রোটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস অ্যাক্ট, ১৯৫০’ এর অধীনে প্রণীত ‘প্রোটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস রুলস, ১৯৮৫’ সংশোধন আনা হয়েছে। সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিধিতে এই সংশোধন এনে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বাজেয়াপ্ত মাছের পোনা বা চিংড়ির লার্ভা এবং যেকোনো ধরনের চিংড়ি কাছাকাছি উপযুক্ত প্রাকৃতিক জলাশয়ে ছেড়ে দেয়া হবে বলে বিধিতে সংশোধন আনা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. হামিদুল হক এ বিষয়ে বলেন, ‘আগের নিয়ম অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত মাছের পোনা আমরা জলাশয়ে ছেড়ে দিতে পারতাম না। জব্দ করা মাছ ও মাছের পোনা এতিমখানায় দিয়ে দেয়া হতো। এ বিষয়টি সংশোধন করতে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী বিধিমালায় সংশোধন আনা হলো। এখন বাজেয়াপ্ত করা মাছের পোনা ও চিংড়ির লার্ভা কাছাকাছি জলাশয়ে ছেড়ে দেয়া যাবে।’