বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সঙ্গে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের বৈঠক

শিল্পে বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে পাটের সম্ভাবনাকে আরো ভালোভাবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে কাঁচাপাট থেকে কাগজ তৈরির পাল্প প্রস্তুতের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) চেয়ারপারসন আবুল কাসেম খান।
বৈঠকে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর কাছে পাট শিল্পের উন্নয়নে স্থানীয় কাঁচাপাট থেকে পাল্প উৎপাদনের প্রস্তাব তুলে ধরেন বিল্ড চেয়ারপারসন। তার এ প্রস্তাবে সম্মতি জ্ঞাপন করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, এ শিল্পের সহায়তায় প্রাসঙ্গিক নীতিমালা তৈরিতে আমরা কাজ করব। তার আগে পাট ব্যবসায়ী, বড় কৃষক, স্থানীয় উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীসহ স্টেকহোল্ডারদের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, পাট খাতকে উৎসাহিত করতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মধ্যে যারা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় স্থানীয় পাট ব্যবহার করবে তাদের জন্য শুল্ক অব্যাহতির বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। পাট রফতানিকারকদের জন্য রপ্তানী উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করা হবে।
এ সময় বিল্ড চেয়ারপারসন জুট প্যাকেজিং অ্যাক্টের মতো একটি জুট পাল্প ও পেপার অ্যাক্ট প্রণয়নের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বিশ্বের মোট পাটের ৪৭ দশমিক ৪১ শতাংশ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। কিন্তু বছরে ৫০০-৬০০ টন পাল্প আমদানি করতে হচ্ছে। এ কারণে স্থানীয় কাঁচাপাট থেকে উচ্চমানসম্পন্ন পাল্প উৎপাদনের জন্য আমাদের কারখানা স্থাপন করা প্রয়োজন। এ উদ্যোগ গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে এবং সামগ্রিক রফতানি চাহিদা পূরণ করবে।
এ সময় বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফেরদৌস আরা বেগম, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. রাশেদুল করিম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।