আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী হচ্ছে

সারা দেশে সরকারি সম্পত্তির সুষ্ঠু নজরদারিতে সরকারের ভূমি ডাটা ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এতে শতভাগ খাসজমি চিহ্নিতকরণ, ছবিসহ খাসজমি, অর্পিত ও পরিত্যক্ত সম্পত্তি, সায়রাত মহালের শক্তিশালী ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে জনগণের জন্য তথ্য উন্মুক্তকরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনলাইন সফটওয়্যার ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে খাসজমি বন্দোবস্ত, জলমহাল, বালুমহাল ও হাটবাজার ইজারা প্রদান করে ই-ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে খুলনা জেলা প্রশাসন প্রথম উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমিসেবা প্রদানে সরাসরি উপস্থিত হওয়ার হার কমিয়ে এনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যত বেশি সেবা প্রদান করা যাবে ভূমি সম্পর্কিত দুর্নীতি তত কমে আসবে। তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় এ ধরনের উদ্যোগের কারণে বর্তমানে ভূমি সেক্টরে অনেক স্বচ্ছতা এসেছে।

এ ছাড়া দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা দ্রুত কার্যকর করতে গত বছরের অক্টোবরে সার দেশে নতুন করে ১ হাজার ৬৩৯টি ভূমি অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নেয় ভূমি মন্ত্রণালয়। এতে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৭৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সারা দেশের ৫০০টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ১৩৯টি উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ‘সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৭১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সারা দেশের ১ হাজার শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্প দুটির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ২০২১ সালের জুন নাগাদ প্রকল্প দুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

বদলি বাণিজ্য ঠেকাতে কানুনগো ও উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তাদের পদায়ন (পোস্টিং) গত বছরের শুরু থেকে লটারির মাধ্যমে আসছে ভূমি মন্ত্রণালয়ে। এ প্রক্রিয়ার শুরুতে ৫৪৮ জনকে পদোন্নতি-পরবর্তী পদায়ন করা হয়। এ প্রসঙ্গে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তদবির বাণিজ্য ও দুর্নীতি রোধের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতেই লটারির মাধ্যমে বদলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবারই ইচ্ছা থাকে ভালো জায়গায় পোস্টিং নেওয়ার। লটারির মাধ্যমে বদলি হওয়ায় যার যেখানে পড়বে, সেখানে যেতে হবে। কারও কোনো প্রশ্ন থাকবে না। কেউ বলতে পারবেন না তদবির করে পোস্টিং নিয়েছেন।