জাতীয় রফতানিতে বেপজার অবদান ১৭ শতাংশের বেশি

সদ্যসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশ থেকে ৪৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) অবদান ১৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ। বেপজার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেপজা পরিচালিত ইপিজেডগুলো ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে রফতানি ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে পণ্য রফতানিতে ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং ৩৩ হাজারেরও বেশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আটটি ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মরত রয়েছেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত যা ছিল ৫ লাখ ১১০ জন। নতুন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু এবং বিদ্যমান শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
গত অর্থবছরে বেপজার আওতাধীন জোনগুলো থেকে ৮ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের রফতানি মূল্যের তুলনায় ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেপজার আওতাধীন ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো মূলধনি যন্ত্রপাতি, নির্মাণসামগ্রী এবং অন্যান্য সম্পদে (চলতি মূলধন ব্যতীত) ২৯২ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা আগের অর্থবছরে বিনিয়োগকৃত ৩৫০ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় সামান্য কম। বেপজা এ প্রবণতাকে বৈশ্বিক ও স্থানীয় অভিযোজন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেখছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩৩টি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর বেপজার জন্য একটি মাইলফলক। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে এ সময়ে এসব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
চুক্তি স্বাক্ষরকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৯৭ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার, যেখানে ৫৯ হাজার ৪০৮ জন বাংলাদেশী নাগরিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিকস পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ পণ্য, জুতা, চামড়াজাত পণ্য, প্যাকেজিং, তাঁবু, পরচুলা, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, খেলনা, কম্পোজিটসহ বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন করবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বেপজার আওতাধীন জোনগুলোয় ৫৬৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে সচল প্রতিষ্ঠান ৪৫০টি ও বাস্তবায়নাধীন রয়েছে ১১৩টি।
সচল শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৩ শতাংশ তৈরি পোশাক, ১৮ শতাংশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ এবং ৯ শতাংশ টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদন ও রফতানি করে থাকে। বাকি ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রনিকস ও চিকিৎসা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে আসবাবপত্র এবং ফ্যাশন অ্যাকসেসরিজসহ বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন ও রফতানি করে।