বার্জার পেইন্টসের রাইট শেয়ার অনুমোদন

বহুজাতিক রঙ উৎপাদক বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডকে ৩০২ কোটি ৮২ লাখ ৩ হাজার ২১০ টাকার রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৫৬তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। তবে একই সভায় জিপিএইচ ইস্পাতের রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়নি কমিশন।
বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ১ হাজার ১০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের ইস্যু মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১১০ টাকা। এক্ষেত্রে ১:১ অনুপাতে ২৭ লাখ ২৮ হাজার ১১১টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩০২ কোটি ৮২ লাখ ৩ হাজার ২১০ টাকা সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি। সংগৃহীত অর্থে ন্যাশনাল ইকোনমিক জোনে তৃতীয় কারখানা স্থাপন ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে বার্জার পেইন্টস। এক্ষেত্রে ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
অন্যদিকে জমাকৃত কাগজপত্র সন্তোষজনক না হওয়ায় জিপিএইচ ইস্পাতের রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করেনি বিএসইসি। কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৫ টাকা মূল্যে ১৬ কোটি ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৫টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২৪১ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ২৭৫ টাকা সংগ্রহের জন্য গত বছরের আগস্টে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন চেয়েছিল।
কমিশন সভায় সিএসই প্রস্তাবিত চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (কমোডিটি ডেরিভেটিভস) বিধিমালা, ২০২৫ অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে সিএসই কমোডিটি মার্কেট অপারেশন চালু করতে পারবে এবং দেশে প্রথমবারের মতো কমোডিটি ডেরিভেটিভস পণ্যের লেনদেন শুরু হবে। সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) থেকে অর্জিত সুদের ২৫ শতাংশ স্টক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে জমা দেয়া ও বাকি অর্থ ব্রোকাররা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়া বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি ৪৫০ থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা, জেড ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও যেসব কোম্পানিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩০ শতাংশের কম শেয়ার রয়েছে, সেসব কোম্পানিতে ‘করপোরেট গভর্ন্যান্স কোড, ২০১৮’ অনুযায়ী স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করা এবং পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা ও (পাবলিক ইস্যু) রুলস সংশোধন-সংক্রান্ত চূড়ান্ত সুপারিশের আইনি প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে কমিশন সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে আইপিও ও মিউচুয়াল ফান্ড অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা বাড়াবে এবং বিনিয়োগকারীর আস্থা বাড়বে। ফলে পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত হবে এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।