শিরোনাম

South east bank ad

গ্রাহকদের নিরাপদ আর্থিক আশ্রয়স্থল ‘এএএ’ রেটিংপ্রাপ্ত প্রাইম ব্যাংক

 প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

গ্রাহকদের নিরাপদ আর্থিক আশ্রয়স্থল ‘এএএ’ রেটিংপ্রাপ্ত প্রাইম ব্যাংক

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতির চাপে, যেখানে অনেক প্রতিষ্ঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানও নানা ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে, সেখানে গ্রাহকদের সবচেয়ে বড় চাওয়া হচ্ছে ‘আস্থা’। শুধু লেনদেন বা প্রযুক্তিতে নয়, গ্রাহকরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা রাখতে চান, যারা তাদের সঞ্চয় ও ভবিষ্যৎ নিরাপদ রাখতে পারবে। এই আস্থার বড় স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (সিআরএবি) থেকে পেয়েছে দেশের ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ রেটিং- দীর্ঘমেয়াদে ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’। এটি প্রমাণ করে, প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি।

‘এএএ’ রেটিং কেবল তিনটি অক্ষর নয়, এটি গ্রাহকদের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তাও। এটি গ্রাহক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী এবং নিয়ন্ত্রকদের বার্তা দেয় যে, প্রাইম ব্যাংক শুধু আর্থিকভাবে স্থিতিশীল নয়, বরং পরিকল্পিত, স্থিতিশীল ও প্রতিকূল সময়েও টিকে থাকার মতো সক্ষম। এই রেটিং প্রাপ্তি প্রমাণ করে যে, প্রাইম ব্যাংক শৃঙ্খলা, দূরদর্শিতা ও নৈতিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে পরিচালিত হয় এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য আর্থিক আশ্রয়স্থল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ব্যাবহারিক অর্থে এই রেটিং প্রাপ্তি বোঝায় যে, প্রাইম ব্যাংক প্রতিকূল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও আর্থিক দায়সমূহ যথাসময়ে পরিশোধে ব্যতিক্রমী সক্ষমতা রাখে। সিআরএবি -এর ভাষ্যমতে, যারা ‘এএএ’ রেটিং পায়, তাদের আর্থিক সক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী হয়। ফলে তারা ঝুঁকির মধ্যেও নির্ভরযোগ্যভাবে সময়মতো আর্থিক দায় পরিশোধে সক্ষম। একইভাবে, এসটি-১ রেটিং প্রাপ্তি অর্থ হলো- স্বল্পমেয়াদী দায়সমূহ সময়মতো পরিশোধের ‘সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা’ বিদ্যমান।

একজন বিনিয়োগকারীর জন্য, এই রেটিং মানে হলো নিশ্চিন্ত থাকা। এর অর্থ হলো আপনার টাকা শুধু ব্যাংকে জমা রাখা বা লেনদেনেই সীমাবদ্ধ নয়- বরং আপনার টাকা সুরক্ষিত আছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে, যারা দূরদর্শী পরিকল্পনা, কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকের আস্থা ধরে রেখেছে। এই ধরনের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা কেবল হাতে গোনা কিছু ব্যাংকই ধারাবাহিকভাবে নিশ্চিত করতে পারে। ‘এএএ’ রেটিং সেই আস্থারই প্রমাণ।

এই অর্জনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক দায়িত্বশীলতার ঐতিহ্য। ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রাইম ব্যাংক শৃঙ্খলা, সুশাসন এবং গ্রাহক সেবার প্রতীক হিসেবে নিজের অবস্থান গড়ে তুলেছে। সময়ের সঙ্গে ব্যাংকটি সফলভাবে বিভিন্ন অর্থনৈতিক মন্দা, মহামারির ধাক্কা কিংবা সামগ্রিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা ধৈর্য্য ও পূর্বনির্ধারিত কৌশলের মাধ্যমে মোকাবিলা করেছে। ব্যাংকটি সবসময় স্বল্পমেয়াদী মুনাফার চেয়ে স্টেকহোল্ডারদের নিরাপত্তা ও আস্থা বজায় রাখার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করেছে।

পরিচালনা পর্যদের দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনার ফলেই প্রাইম ব্যাংক এমন একটি ব্যাংকিং মডেল বা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে, যা দৃঢ়তা ও প্রাসঙ্গিকতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সময়ে অতিরিক্ত সম্প্রসারণে না গিয়ে, ব্যাংকটির পরিচালনা পর্যদ বেছে নিয়েছে টেকসই প্রবৃদ্ধির পথ। বাজার দখলের অন্ধ প্রতিযোগিতায় না নেমে, ব্যাংকটি ধাপে ধাপে স্বচ্ছতা, উদ্ভাবন ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

এই মানসিকতা ও চর্চা শুধু রেটিংয়ে নয়, বরং যে সংস্কৃতি ও কার্যপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই রেটিং অর্জন সম্ভব হয়েছে, সেখানেও প্রতিফলিত হয়।

‘এএএ’ রেটিং প্রাপ্তি কোনও হেলাফেলার বিষয় নয়। সিআরএবি মূলত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূলধন, সম্পদের গুণমান, আয়ের ধারাবাহিকতা, তারল্য ব্যবস্থাপনা এবং সুশাসনের মান পর্যালোচনা করে এই রেটিং দিয়ে থাকে। এই প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রাইম ব্যাংক শুধু মানদণ্ড পূরণই করেনি, বরং তা অতিক্রম করে গেছে।

প্রাইম ব্যাংক মূলধন পর্যাপ্ততার হার নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ন্যূনতম সীমার চেয়ে বেশি বজায় রাখে, যা যেকোনো সংকটকালে অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার নিশ্চয়তা প্রদান করে। বৈশ্বিক আর্থিক পরিবেশে এই সক্ষমতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, মূল্যস্ফীতির চাপ ও নীতিমালার পরিবর্তন শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও পরীক্ষার মুখে ফেলে।

প্রাইম ব্যাংক অপরিশোধিত ঋণ হার সর্বনিম্ন বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে, যা সম্ভব হয়েছে মূলত ব্যাংকের সতর্ক ঋণ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এবং নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার কারণে। উচ্চঝুঁকিপূর্ণ ঋণগ্রহীতাদের থেকে দূরে থেকে এবং ঋণ পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে, প্রাইম ব্যাংক তার সম্পদের গুণমান এমন এক স্তরে ধরে রেখেছে, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে অন্যতম সেরা।

পর্যাপ্ত তারল্য রিজার্ভ এবং স্থিতিশীল আমানত ভিত্তির মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক সহজেই তার সব স্বল্পমেয়াদী আর্থিক দায় পরিশোধে সক্ষম। পাশাপাশি, ব্যাংকের প্রযুক্তিনির্ভর পরিচালন পদ্ধতি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সেবা সরবরাহ নিশ্চিত করে, যা খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে।

সুশাসনের নিশ্চয়তা দীর্ঘদিন ধরে প্রাইম ব্যাংকের শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। একটি দায়িত্বশীল পরিচালনা পর্ষদ, ম্যানেজমেন্টের ক্ষমতায়ন এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতের ধারাবাহিদকতা- ব্যাংকটির দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রেখেছে, যা মুনাফা অর্জন ও সতর্কতা অবলম্বনের মধ্যে ভারসাম্য বাজায় রাখে। প্রাইম ব্যাংকে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে শুধু একটি দাপ্তরিক কার্যক্রম হিসেবে দেখা হয় না, বরং সকল কার্যক্রমে এটা অনুসরণ করা হয়। যদিও বিনিয়োগকারী ও নিয়ন্ত্রকদের জন্য ক্রেডিট রেটিংয়ের কারিগরি দিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তবে ‘এএএ’ রেটিংয়ের সবচেয়ে অর্থবহ গ্রাহকদের জন্য।

নিজের বাড়ির জন্য সঞ্চয় করা একজন চাকরিজীবী, ঋণের প্রয়োজন থাকা একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কিংবা বড় কোনো কোম্পানি—সবাই এমন একটি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করতে চান, যা নিরাপদ, স্থিতিশীল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত। এই ‘এএএ’ রেটিং প্রাপ্তির মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদেরকে সেই আস্থার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এটি প্রমাণ করে যে, তারা এমন একটি ব্যাংক বেছে নিয়েছেন, যা দেশের সবচেয়ে নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অন্যতম।

‘এএএ’ রেটিং অর্জনই শেষ নয়, এটি নতুন প্রতিশ্রুতির শুরু মাত্র। প্রাইম ব্যাংক বিশ্বাস করে, দ্রুত পরিবর্তনশীল আর্থিক জগতে প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে হয়, এটা অনুমান করে নেওয়ার বিষয় না। এটার অর্থ হলো- নিরাপদ ডিজিটাল অবকাঠামো গড়তে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করা, সবুজ ও টেকসই অর্থায়নকে সহায়তা করা এবং সর্বোপরি গ্রাহকের প্রয়োজনের সঙ্গে সবসময় সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে চলা।

প্রাইম ব্যাংক যেহেতু আগামী দশকের জন্য যাত্রা শুরু করছে, সেহেতু ব্যাংকটি এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে- তারা জানে এটার ভিত্তি শুধু শক্তিশালী নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্যও প্রস্তুত। ‘এএএ’ রেটিং প্রাপ্তি শুধু একটি সম্মান বা স্বীকৃতি নয়, এটি একটি বড় দায়বদ্ধতা। এই অর্জন প্রমাণ করে যে, প্রাইম ব্যাংক গ্রাহক, বিনিয়োগকারী ও অংশীদারদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই রেটিংকে সামনে রেখে প্রাইম ব্যাংক এখন এমন একটি প্রবৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে, যেখানে লক্ষ্য যেকোনও মূল্যে বড় হওয়া নয়- বরং সততা, উদ্দেশ্য এবং পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে টেকসইভাবে এগিয়ে যাওয়া। কারণ, দিনের শেষে একটি ব্যাংক কেবল টাকা জমা রাখার জায়গা নয়- এটি বিশ্বাস, নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতের নিশ্চয়তারও স্থান। আর ‘এএএ’ রেটিং প্রাপ্ত প্রাইম ব্যাংক বর্তমানে, ভবিষ্যতে এবং এমনকি সবসময় গ্রাহকদের সবচেয়ে নিরাপদ আর্থিক আশ্রয়স্থল হিসেবে পাশে রয়েছে।

BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: