শিরোনাম

South east bank ad

দারিদ্র দূর করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

দারিদ্র দূর করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দারিদ্র ও বৈষম্য দূর করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই। বৈষম্য দূর করার মানে আর্থিক ও সামাজিক বৈষম্যের পাশাপাশি ডিজিটাল বৈষম্যও দূর করতে হবে। আমাদের মানুষ অনেক মেধাবী, তারা কাজ করতে পারে।

তাদেরকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের রূপান্তরে তারা অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে। মন্ত্রী সামনের দিনের প্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবীতে টিকে থাকতে মানুষের ক্ষমতায়নে তাদের ডিজিটাল দক্ষতা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচির পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসমূহকে ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ২০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে তার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেটকে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের জন্য অত্যাবশ্যক উপকরণ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ বিশেষ করে স্ক্যান্ডেনিভিয়ান দেশগুলোর অনেকেই ইন্টারনেটকে সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, অতীতের তিনিটি শিল্প বিপ্লবে শরীক না হওয়ায় আমাদের সমাজের রূপান্তরের ভিত্তি ছিলো কৃষি।

তিনি বলেন, শতশত বছরের পশ্চাদপদতা দূর করতে বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা আইটিইউ‘র সদস্যপদ অর্জন এবং টিএন্ডটি বোর্ড গঠনসহ বৈপ্লবিক বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের বীজ বপন করে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাড়ে ১৮ বছরের শাসনামলে বঙ্গবন্ধুর রোপন করা বীজ অঙ্কুরিত হয়ে আজ মহিরূহে রূপান্তর লাভ করেছে।

তিনি দেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় ডিজিটাল অবকাঠামো পৌছে দিতে, পার্বত্য অঞ্চলের ২৮টি পাড়া কেন্দ্র ডিজিটাইজ করাসহ দেশের অনগ্রসর অঞ্চলে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হাওর, দ্বীপ, দূর্গম চর অঞ্চলে ডিজিটাল সংযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কাজ আমরা করছি। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি জায়গায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। মানুষের সেবায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগামী বিশ বছরের পথ নকশা তৈরি করে আপনাদের সামনে এগুতে হবে। গত বিশ বছরের মতো আগামী ২০ বছর হবে না। আগামী ২০ বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর আপনাদের গুরুত্বারোপ করতেই হবে। এখন সময় হয়েছে কাপড় সেলাই এর কাজ শেখার দক্ষক্তার সাথে ই-কমার্স কেমন করে করতে হয়, কেমন করে ঘরে বসে শাড়ী গয়না বা রান্না করা খাবার ইন্টারনেটে বিক্রি করতে হয় তা মেয়েদেরকে শেখানোর।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ এর নির্বাহী সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, টিআইবি‘র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং দেশের শীর্ষ স্থানীয় এনজিও ব্যক্তিত্বগণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: