অনৈতিক সম্পর্কের ফলে অন্তঃসত্ত্বা নারীর বাচ্চার ব্যয় বহনে দায়িত্ব নিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে মুদি দোকানির অনৈতিক সম্পর্কের ফলে অন্তঃসত্ত্বা এক নারী গত ১০ জানুয়ারি রাজশাহীর বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুত্র সন্তান প্রসব করেন। সন্তান প্রসবের আগে নিত্যদিনের যাবতীয় ব্যয় ও শিশু জন্ম নেয়ার পর ওই শিশুকে লালন-পালনসহ সব ব্যয় বহন করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন রাজশাহী-০৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
ওই শিশুকে ০৫ ফেব্রুয়ারি রাতে দেখতে গিয়ে আবারও তার সকল দায়ভার নিজে বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বাঘা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ফাতেমা মাসুদ লতা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এলাকায় আসার পর ওই সন্তানকে তার বাড়িতে নিয়ে আসার কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। জন্ম নেয়া ওই সন্তান রাসেলের মা ঝর্ণাসহ তার বাড়িতে আসার পর তাকে কোলে নিয়ে আর্শিবাদ করেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলার মনিগ্রাম বাজারের মুদি দোকানি বাদশা আলম বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বাদশা তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। এতে ওই নারী মামলা করেন। এ ঘটনায় নিত্যদিনের যাবতীয় ব্যয় ও শিশু জন্ম নেয়ার পর ওই শিশুকে লালন-পালনসহ সব ব্যয় বহন করবেন বলে ঘোষণা দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় বছরখানেক আগে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। এরপর ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার প্রতিবেশী মুদি দোকানি বাদশা আলম শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এতে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পাঁচদিন পর বাদশাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত বাদশা একই উপজেলার তুলশিপুর গ্রামের ইদ্রিশ আলীর ছেলে। ওই গৃহবধুর বাড়ি সংলগ্ন মনিগ্রাম বাজারে ব্যবসা করতেন তিনি।