South east bank ad

৩০ লাখ ডলারের বেশি আমদানির ক্ষেত্রে জানাতে হবে ২৪ ঘণ্টা আগে

 প্রকাশ: ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আমদানী/রপ্তানী

৩০ লাখ ডলারের বেশি আমদানির ক্ষেত্রে জানাতে হবে ২৪ ঘণ্টা আগে

আমদানি লেনদেন পরিচালনা সহজ করতে এ-সংক্রান্ত আগের সব সার্কুলার একত্রে এনে নতুন বিধিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে জিএফইটি-২০১৮ ভলিউম-১ এবং তার পরবর্তী সার্কুলারে আমদানি লেনদেন সম্পর্কিত সব নির্দেশনা বাতিল করা হলেও ভলিউম-২-এ থাকা মাসিক রিপোর্টিং সম্পর্কিত আগের নিয়ম বহাল থাকবে। নতুন নীতিমালায় ৩০ লাখ ডলার বা সমমূল্যের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগেই অনলাইন ইমপোর্ট মনিটরিং সিস্টেমে (ওআইএমএস) রিপোর্ট করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে সরকারি আমদানির ক্ষেত্রে এ বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হবে না।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ (এফইপিডি) এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে। সার্কুলার জারির পর থেকে এক বছরের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে। এ সময়ের মধ্যে নতুন কোনো নির্দেশনা জারি হলে তা এ সার্কুলারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব ধরনের অনুমোদিত ব্যাংককে প্রতিদিন ওআইএমএসে আমদানির তথ্য রিপোর্ট করতে হবে। এতে করে বাংলাদেশ ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে আমদানির প্রবাহ, দায় ও বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।

নতুন নির্দেশনায় আরো বলা হয়, এখন থেকে প্রফর্মা ইনভয়েসে পণ্যের গুণগত মান, ব্র্যান্ড, উৎপাদনের তারিখ, গ্রেড, ইউনিট মূল্য, পরিমাণ ও প্যাকেজিং-সংক্রান্ত তথ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। একই সঙ্গে সঠিক ৮ অংকের এইচএস কোড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভুল এইচএস কোড ব্যবহার করলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জরিমানা করতে পারবে। ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) ভিত্তিক আমদানির ক্ষেত্রে শিপিং কোম্পানি, এয়ারলাইনস বা লাইসেন্সধারী ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারকে টাকায় বা বৈদেশিক মুদ্রায় পরিবহন খরচ প্রদান করা যাবে, তবে এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সনদপত্র জমা দিতে হবে।

সরবরাহকারীর ব্যাংক গ্যারান্টি থাকলে অগ্রিম অর্থ পাঠানো যাবে। ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত অগ্রিম অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে গ্যারান্টি ছাড় থাকবে, তবে ‘নো ইয়োর কাস্টমার’ (কেওয়াইসি), মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ আইন (এএমএল/সিএফটি) এবং পূর্ববর্তী বিল অব এন্ট্রি জমা দেয়ার শর্ত পূরণ করতে হবে। গ্যারান্টি ছাড়া বড় অংকের অগ্রিম অর্থ পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি লাগবে।

রেমিট্যান্স পাঠানোর চার মাসের মধ্যে কাস্টমস কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত বিল অব এন্ট্রি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। সাপ্লায়ারস ক্রেডিট বা বায়ারস ক্রেডিটের ক্ষেত্রে সময় গণনার নিয়ম আলাদা হবে এবং সময় বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগে (এফইওডি) আবেদন করতে হবে। শিল্প কাঁচামালের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৮০ দিন, জাহাজ ও কিছু বিশেষ পণ্যের ক্ষেত্রে ৩৬০ দিন এবং কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ক্ষেত্রে ২৭০ দিন পর্যন্ত ক্রেডিট নেয়া যাবে। পুঁজিবাজারের যন্ত্রপাতির জন্য এ সময়সীমা সর্বোচ্চ তিন বছর।

পেমেন্ট বিহেভিয়ার ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী, সময়মতো আমদানির দায় পরিশোধে ব্যর্থ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে ব্যাংকের এডি লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে। প্রতিটি শাখাকে নিয়মিতভাবে বকেয়া বিল মনিটরিং ও রিপোর্টিং করতে হবে। সফটওয়্যার ও আইটি সেবা ই-ডেলিভারির মাধ্যমে আমদানি করতে হলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের সার্টিফিকেট, কাস্টমস মূল্যায়ন এবং কর পরিশোধের প্রমাণপত্র লাগবে।

BBS cable ad

আমদানী/রপ্তানী এর আরও খবর: