South east bank ad

ইউএইর কোম্পানির কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্রি করবে সামিট পাওয়ার

 প্রকাশ: ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

ইউএইর কোম্পানির কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্রি করবে সামিট পাওয়ার

বিদ্যুৎ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড তাদের নারায়ণগঞ্জ ইউনিট ওয়ানের ভারী জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্রি বা পুনরায় রফতানির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) কোম্পানি স্যাবসন এনার্জি এফজেডসিওর সঙ্গে সম্পদ ক্রয় চুক্তি (এপিএ) সম্পন্ন করেছে। এ বিষয়ে সব স্টেকহোল্ডার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অবহিত করেছে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুসারে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০১১ সালের ১ এপ্রিল বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে দুই দফা নবায়নের পর তাদের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ২২ মার্চ। যদিও ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল বিপিডিপির সম্মতিপত্রের ভিত্তিতে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পে’ নীতিতে কেন্দ্রটি আরো দুই বছর চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে গত বছরের ১৯ আগস্ট থেকে আর কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়নি।

বিপিডিবি থেকে পাওয়া অনাপত্তিপত্রে (এনওসি) বলা হয়, পিপিএ নবায়নের আর কোনো সুযোগ নেই এবং বাংলাদেশে কেন্দ্রটির কার্যকরী উৎপাদন মেয়াদ শেষ হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সামিট পাওয়ারের পর্ষদ ৮ মে অনুষ্ঠিত সভায় কেন্দ্রটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় এবং সম্ভাব্য ক্রেতা খোঁজার জন্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে অনুমোদন দেয়। ব্যবস্থাপনা বিভাগ আলোচনা করে ইউএইর আইনে নিবন্ধিত স্যাবসন এনার্জি এফজেডসিওর সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) সামিট পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৫৫ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে সামিট পাওয়ারের ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ১৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৪৪ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে সামিট পাওয়ার। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৮৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ২ পয়সায়।

সামিট পাওয়ারের সর্বশেষ ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি ওয়ান’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।

২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ারের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৫৭২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৬ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৯। এর ৬৩ দশমিক ১৯ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ৫১, বিদেশী বিনিয়োগকারী ৩ দশমিক ৬৫ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: