বাংলাবাজার ঘাটে পদ্মা পারের অপেক্ষায় রোগীবাহী অনেক অ্যাম্বুলেন্স

এস এম আরাফাত হাসান (মাদারীপুর):
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শনিবার ভোর ৪টা থেকে হঠাৎ করে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
দিনের বেলা সম্পূর্ণভাবে ফেরি বন্ধ করার নির্দেশ দেয় বিআইডব্লিউটিসি। এতে শনিবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী জরুরি সেবার যানবাহনসহ অসংখ্য মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুলেন্স ফেরিতে পদ্মা পারের অপেক্ষায় ঘাটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
রোগীর স্বজনদের দাবি, দ্রুত নদী পার হয়ে হাসপাতালে সময়মতো রোগীকে না পৌঁছাতে পারলে রোগী মারা যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার দিনের বেলায় বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নামে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে।
১২শ যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে কোনো প্রকার যানবাহন ছাড়াই যাত্রী চাপ সামলাতে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে আসে। এতে নতুন করে অসংখ্য মানুষের মাঝে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি'র ঘাট সূত্র জানায়, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে স্বাভাবিক অবস্থায় ১৬টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে চলাচল করে। লকডাউনের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে সীমিত করা হয় ফেরি চলাচল।
লকডাউনের শুরুতে জরুরি সেবায় ৭টি ছোট ফেরি চলাচল করলেও শুক্রবার ঘরমুখী যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজনে আসা যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ থাকায় সব কটি ফেরি চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবু পারাপারের জন্য অপেক্ষায় উভয় পাড়ে আটকা পড়েছে অসংখ্য যানবাহন।
এক রোগীর স্বজন মিরাজ বলেন, আমরা ভাই অ্যাজমার রোগী তাকে অবশ্যই জরুরিভাবে ঢাকা নেয়া প্রয়োজন, ঘাটে এসে দেখি সকল ফেরি বন্ধ কি করবো কিছুই ভাবতে পারছি না।’
ক্যানসারে আক্রান্ত এক রোগী বলেন, আমার কালকে কেমো দেওয়ার তারিখ আজ পৌঁছাতে না পারলে কেমো দেওয়া সম্ভব হবে না।
শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যাতে না বাড়ে তার জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনসহ ঘাটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজা করে যাচ্ছি তা ছাড়া সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহম্মেদ জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দিনের বেলায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে সন্ধ্যার পর জরুরি সেবায় সীমিত পরিসরে ছোট কয়েকটি ফেরি চলবে।’