পে-স্কেল নিয়ে টানটান অবস্থান: মাঠে কর্মচারীরা, কাগজে-কলমে ব্যস্ত কমিশন
নবম পে-স্কেলের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশ করা না হলে ১৭ ডিসেম্বর থেকে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। এতে করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সরকার গেজেট প্রকাশ করতে পারবে কি না—এ প্রশ্ন এখন তীব্র হয়ে উঠেছে।
যদিও কমিশন জানিয়েছে তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সুপারিশ জমা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তবে এত কম সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের সম্ভাবনা “প্রায় নেই বললেই চলে”—বলছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
গত জুলাইয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ–সুবিধা পর্যালোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত পে কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসাব অনুযায়ী কমিশনের হাতে সময় রয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে সরকার ঘোষিত সময়ের আগেই ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সুপারিশ চেয়ে আসছিল কর্মচারীদের সংগঠনগুলো।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুপারিশ জমা না পড়ায় কর্মচারীদের অসন্তোষ আরও বাড়ে। এর প্রতিবাদে ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারা এক মহাসমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে জানানো হয়—নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবি পূরণ না হলে ১৭ ডিসেম্বর থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সংগঠনও এই আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছে।
এদিকে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আন্দোলনের বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজেদের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। কমিশনের এক সদস্য গণমাধ্যমকে জানান, চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ ও লেখালিখি চলমান রয়েছে এবং খুব দ্রুতই সুপারিশ দাখিল করা হবে। তবে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ সম্ভব কি না—সে বিষয়ে তিনি কোনো সুস্পষ্ট মন্তব্য করেননি।
কমিশন ও সরকারি বিভিন্ন সূত্রের ভাষ্য—সুপারিশ জমা দিতে ডিসেম্বর পুরো মাসই লাগতে পারে এবং সেই সুপারিশ যাচাই-বাছাই করে নতুন বেতন কাঠামো তৈরি করতেও সময় প্রয়োজন। ফলে কর্মচারীদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে নতুন পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশের সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।


