আট প্রতিষ্ঠানের প্রভিশন সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়িয়েছে বিএসইসি
নেগেটিভ ইকুইটি ও আনরিয়েলাইজড লসের প্রভিশন সংরক্ষণ ও সমন্বয়ের জন্য পুঁজিবাজারের আরো আট প্রতিষ্ঠানের সময়সীমা বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮৫তম কমিশন সভায় গতকাল এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিএসইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সময়সীমা বাড়ানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে। তাদের নেগেটিভ ইকুইটি ও আনরিয়েলাইজড লস প্রভিশন সংরক্ষণ ও সমন্বয়-সংক্রান্ত অ্যাকশন প্ল্যান বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড, ওয়ান সিকিউরিটিজ লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এপেক্স ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, এবাসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও সোনালী ইনভেস্টমেন্ট পিএলসি।
এর আগে ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ৯৮৪তম কমিশন সভায় একই শর্তে ২৮ প্রতিষ্ঠানের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত এপ্রিলে বিএসইসির ৯৫৩তম কমিশন সভায় স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের গ্রাহকের মার্জিন অ্যাকাউন্টে আনরিয়েলাইজড লস বা সৃষ্ট নেগেটিভ ইকুইটির ওপর প্রভিশন সংরক্ষণের সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যদিও প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ডিবিএ।
তখন প্রভিশন সংরক্ষণ সুবিধা গ্রহণের জন্য নেগেটিভ ইকুইটি বা আনরিয়েলাইজড লসে থাকা স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারের প্রত্যেককে নেগেটিভ ইকুইটির ওপর প্রভিশন সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ ৩০ জুনের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছিল।


