বাজেট ঘোষণার পরদিন পুঁজিবাজারে দরপতন

তিন বছর ধরেই দেশের পুঁজিবাজার নিম্নমুখী। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বেশ কয়েক দিন পুঁজিবাজার চাঙ্গা হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিনিয়োগকারীদের আশা ছিল ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেবে সরকার। এবারের বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে কয়েকটি প্রস্তাব থাকলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সরাসরি কোনো প্রণোদনা নেই। এ কারণে বাজেট ঘোষণার পরদিনই গতকাল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ২৪ দশমিক ৭ পয়েন্ট কমেছে।
গতকাল লেনদেনের শুরুতে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়তে থাকায় ধীরে ধীরে পয়েন্ট হারাতে থাকে সূচক। দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ২৪ দশমিক ৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস ৩০ আগের দিনের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৪৬ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৬ দশমিক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে পুঁজিবাজার উন্নয়নে বেশকিছু প্রস্তাব থাকলেও বিনিয়োগকারীরা সরাসরি লাভবান হবেন এমন কোনো প্রণোদনা রাখা হয়নি। ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি আসন্ন ঈদের দীর্ঘ ছুটির কারণে অনেকেই নতুন করে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
এদেকে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
অন্যদিকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বাজেটের বিভিন্ন প্রস্তাবকে পুঁজিবাজারের উন্নয়নমুখী হিসেবে উল্লেখ করে সংগঠনটির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশে দীর্ঘ বছর ধরে আমরা সরকারের কাছে কর সুবিধাসহ বেশকিছু সুপারিশ করে আসছিলাম। এবারের বাজেটে আমাদের দাবির আংশিক পূরণ হয়েছে।’