পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় মোছাঃ মেঘলা খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার, ছোহাদ ও সুরাইয়া পেল পিতৃ স্নেহ

মোছাঃ মেঘলা খাতুন (২৫), পিতা- মৃত রাশিদুল ইসলাম, গ্রাম-গাড়াবাড়িয়া ছাগলাপাড়া, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর সাথে অনুমান ০৫ বছর আগে মোঃ সোনা মিয়া (৩২), পিতা-মোঃ রবিউল (ড্রাইভার), সাং-মুন্সিগঞ্জ সোনাতনপুর, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে ১। মোঃ ছোহাদ (৪) ও ২। মোছাঃ সুরাইয়া (০২) নামের ফুটফুটে দুইটি সন্তান জন্ম গ্রহন করে। বিয়ের পর হতে বিভিন্ন সময়ে সোনা মিয়া যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে। ফলে তাদের মধ্যে প্রায়ই বিরোধ দেখা দেয়। সংসারে চলমান বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, গত ০২ মাস আগে মোঃ সোনা মিয়া তার স্ত্রীকে একলক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে পিতার বাড়ীতে তাড়িয়ে দেয় এবং টাকা না দিলে তালাক দিবে মর্মে হুমকি দেয়।

এমতাবস্থায় মোছাঃ মেঘলা খাতুন তার ০২টি সন্তান ও নিজের অসহায়ত্ব থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা উক্ত অভিযোগটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার”কে দায়িত্ব দেন। “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ সোনা মিয়া তার স্ত্রী মোছাঃ মেঘলা খাতুন’কে পুনরায় নিজ বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে সংসার করতে সম্মত হয়। ফলে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর হস্তক্ষেপে ছোহাদ ও সুরাইয়া ফিরে পেল তার বাবার আদর স্নেহ। অন্য দিকে মোছাঃ রাণী খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার।