South east bank ad

ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠক আজ

 প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   এনবিআর

ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠক আজ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ঘোষিত এ শুল্ক চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ওয়ান টু ওয়ান নিগোসিয়েশনের মাধ্যমে এটা ঠিক হবে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৮ জুলাই (আজ বুধবার) যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা আছেন। ইউএসটিআরের সঙ্গে আলাপ করবেন তিনি। ওই বৈঠকের পর আপনারা বুঝতে পারবেন।’

বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের বিষয়টি শুধু শুল্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
এটি বাণিজ্যের বিষয়, যার ফলাফল হচ্ছে শুল্ক। তাই এই সমস্যার সমাধানের সঙ্গে বাণিজ্যনীতিসহ অনেক বিষয় জড়িত। বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্য করে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা বা ডব্লিউটিওর বিধিবিধান মেনে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তি শুল্কের সমাধান করতে হলে সেই নীতিমালাগুলোতেও পরিবর্তন আনতে হবে।
আর সেটি করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সব দেশের জন্য। তাই আমরা গভীর চিন্তাভাবনা করে এ বিষয়ে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের দিক থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।

যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশের ওপর গত ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি পাল্টা শুল্ক বসানো হয়।
তখন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ৩৭ শতাংশ। গত ৯ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক কার্যকরের সময় তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও সব দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর করা হয়।

বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির একক বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের হিসাবে সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১৮ শতাংশের কিছু বেশি। তবে ইপিবির হিসাবে, এই রপ্তানির পরিমাণ ৮৭৬ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ৮৭ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক। এ ছাড়া মাথার টুপি বা ক্যাপ, চামড়ার জুতা, হোম টেক্সটাইল, পরচুলা এবং অন্যান্য চামড়াজাত পণ্য বেশি রপ্তানি হয়।

জানতে চাইলে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা শুরু থেকে সরকারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষির অনুরোধ জানিয়েছি। তবে পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি নিয়ে ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চাই, দর-কষাকষির প্রক্রিয়ায় লবিস্ট নিয়োগ করা হোক। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদেরও যুক্ত করা হোক।’

BBS cable ad

এনবিআর এর আরও খবর: