দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। অনেক খাদ্য এখন বাইরের দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য ৭০ থেকে ৮০ লাখ মেট্রিকটন আলুর চাহিদা রয়েছে। আর দেশে বর্তমানে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মেট্রিকটন আলু উৎপাদন হচ্ছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ৩০/৪০ লাখ মেট্রিকটন আলু বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। তাহলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আলু বিক্রি করে লাভবান হবেন।
শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) মেহেরপুর জেলায় বিএডিসির মানসম্পন্ন বীজ, আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে জোরদারকরণ প্রকল্প, আলু বীজ বিভাগ মেহেরপুরের (বিএডিসি) উদ্যোগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) আলু ফসলের মাল্টি লোকেশন পারফরম্যান্স যাচাইয়ের মাঠ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশের আগে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
ফরহাদ হোসেন আরো বলেন, মাটির গুনের কারণে মেহেরপুর কৃষিতে সমৃদ্ধ ও উন্নত। এ জেলায় ফসলের মধ্যে গম, ভুট্টা, আলু, সবজিসহ নানা ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ৩/৪ জেলায় বিক্রি করে। চলতি বছরে জেলা থেকে প্রায় ১৪শ মেট্রিকটন বাঁধাকপি বিশ্বের চারটি রাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়েছে। এছাড়া মিষ্টি সুস্বাদু হিমসাগর আমের চাহিদা রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে। এই জেলা থেকে বিভিন্ন দেশে আমও রপ্তানি হচ্ছে। এবার যোগ হচ্ছে গোল আলু।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বিদেশে রপ্তানি করতে পারলে তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেহেরপুরের কৃষিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন। মেহেরপুর জেলাকে কৃষি অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করছেন। মেহেরপুরের কৃষিকে ঢেলে সাজাতে ইতোমধ্যে অনেকগুলো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেটার কুষ্টিয়া অঞ্চলের জন্য মুজিবনগর কৃষি সমন্বিত সেচ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ২৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মেহেরপুর জেলাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১শ কোটি টাকা। এ জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ন্যচারালভাবে ফসল সংরক্ষণ করার জন্য দেশীয় প্রযুক্তিতে গ্রীন হাউজ করতে কৃষকদের দেড় লাখ করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া খাদ্য সংরক্ষণের জন্য নতুন নতুন গোডাউন নির্মাণ করা হবে।
এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী কৃষক এজেডএম মারুফুজোহা গোরার আলু ক্ষেত ও প্রদর্শনকৃত আলু পরিদর্শন করেন।