শিরোনাম

South east bank ad

শীর্ষ আমদানিকারকের তালিকায় পদ্মা মেঘনা যমুনা

 প্রকাশ: ২০ অগাস্ট ২০১৭, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আমদানী/রপ্তানী

শীর্ষ আমদানিকারকের তালিকায় পদ্মা মেঘনা যমুনা
দেশের শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জ্বালানি তেল বিপণনকারি প্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট্রোলিয়াম। তালিকায় পরের দুই অবস্থানে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পদ্মা ও যমুনা অয়েল কোম্পানি। তালিকার শীর্ষ এ তিন কোম্পানিই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। শীর্ষ আমদানিকারকের তালিকায় এর পর রয়েছে ইর্স্টান রিফাইনারি। এ তালিকায় পঞ্চম থেকে দশম শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে মেঘনা গ্রুপের তানভীর অয়েলস লিমিটেড, মেসার্স শাহ সিমেন্ট ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড, আবদুল মোনেম সুগার রিফাইনারি লিমিটেড, উত্তরা মোটর কর্পোরেশন লিমিটেড, গ্রামীনফোন লিমিটেড ও মেনকা মটরস লিমিটেড। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস দিয়ে সদ্য বিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমদানি তালিকা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়। কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, সাড়ে চার হাজার এইচএস কোডভুক্ত (পণ্যের পরিচিতি তালিকা) পণ্য থেকে রাজস্ব আহরণ করে থাকে দেশের সবচেয়ে বড় রাজস্ব আহরণকারী সংস্থা চট্টগ্রাম কাস্টমস। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শীর্ষ ১০ আমদানিকৃত পণ্যে আছে জ্বালানি ও ভোজ্য তেল, সিমেন্ট ক্লিংকার, চিনি, মোটর গাড়ি, মোটর সাইকেল ও প্রযুক্তি সরঞ্জাম। দেশের আমদানিকারকের তালিকায় র্শীষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে ২৫ হাজার ১১৭ কোটির টাকার জ্বালানি ও ভোজ্য তেল, সিমেন্ট ক্লিংকার, চিনি, মোটর গাড়ি, মোটর সাইকেল ও প্রযুক্তি সরঞ্জাম আমদানি করে। আগের অর্থবছর এর পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৭৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের তালিকার প্রথমে থাকা মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ২০১৬-১৭ অর্থবছর ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮৭৩ টন জ্বালানি তেল আমদানি করে। এর আর্থিক মূল্য পাঁচ হাজার ২৩৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এই প্রতিষ্ঠানটি আগের অর্থবছর চার হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ লাখ ৭০ হাজার ১২৮ টন তেল আমদানি করে। সেবারও জ্বালানি তেল আমদানিতে শীর্ষে ছিল প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৬ টন জ্বালানি তেল আমদানি করে। এর আর্থিক মূল্য পাঁচ হাজার ১৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এই প্রতিষ্ঠানটি আগের অর্থবছরে তিন হাজার ৯৩২ কোটি টাকা মূল্যের ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫৮ টন তেল আমদানি করে। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড চার হাজার ৬৫১ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ লাখ ছয় হাজার ১৭৪ টন জ্বালানি তেল আমদানি করে। এই কোম্পানিটি গত অর্থবছরে নয় লাখ ৮৪ হাজার ৮২ টান তেল আমদানি করে তৃতীয় স্থানে ছিল। এর মূল্য ছিল তিন হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। ইর্ষ্টান রিফাইনারি লিমিটেড গত অর্থবছরের অপরিশোধিত তেল ও বিটুমিন আমদানি করেছে ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮১ টন। এর আর্থিক মূল্য চার হাজার ৭৩ কোটি টাকা। এই কোম্পানিটি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তিন হাজার ৪৯ কোটি টাকার জ্বালানী পণ্য আমদানি করে। আগের বছরের মত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভোজ্য তেলের বড় সরবরাহকারি মেঘনা গ্রুপের তানভীর অয়েলস লিমিটেড। বেসরকারি খাতের এ প্রতিষ্ঠান ফ্রেশ ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল সরবরাহ করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬-১৭ অর্থ আমদানি করে চার লাখ সাত হাজার ৬৬৭ টন ভোজ্য তেল। এর আর্থিক মূল্য দুই হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। সিমেন্টের বাজারে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাহ সিমেন্ট ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৭২০ টন সিমেন্ট ক্লিংকার আমদানি করে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে। আমদানিকৃত এ পণ্যের মূল্য ছিল এক হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২২০ কোটি টাকা এদিকে শীর্ষ দশ আমদানিকারকের তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে সাত নাম্বারে উঠে এসেছে আবদুল মোনেম সুগার রিফাইনারি লিমিটেড। গত অর্থবছর এই কোম্পানি চিনির কাঁচামাল আমদানি করেন দুই লাখ ৯০ হাজার ১৫ টন। এর মূল্য এক হাজার ৯২ কোটি টাকা। এই কেম্পানি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আমদানি করে ৭৯৫ কোটি টাকার পণ্য। তালিকার আট নাম্বার স্থানে রয়েছে গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান উত্তরা মোটর কর্পোরেশন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪২৫ কোটি টাকা যন্ত্রাংশ ও গাড়ি আমদানি করে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৭৩ কোটি টাকার আমদানি করেছিল কোম্পানিটি। দুই ধাপ নেমে তালিকার নবম অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি টেলিকম কোম্পানি গ্রামীনফোন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪ হাজার তিন টন বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি সরঞ্জাম পণ্য আমদানি করে, যার আর্থিক মূল্য ৪১৬ কোটি টাকা। এই কোম্পানি আগের অর্থবছরে আমদানি করেছিল এক হাজার ১৬১ কোটি টাকার। তালিকায় আগের বারের মত ১০ম স্থানে রয়েছে উত্তরা মটরসের সহযোগি মটর বাইক আমদানি ও সংযোজনকারি প্রতিষ্ঠান মেনকা মটরস লিমিটেড। গত অর্থবছর এ কোম্পানিটি ছয় হাজার ৯৯২ টন বাইক ও যন্ত্রাংশ আমদানি করেন, যার মূল্য ছিল ৩৪১ কোটি টাকা। আর আগের বছরে কোম্পানিটির আমদানি করা হয়েছিল ২৬০ কোটি টাকার। উল্লেখ্য, দেশের সর্ববৃহৎ কাস্টমস হাউস দিয়ে দেশের আমদানি বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং রফতানি বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। গত বছর এ কাস্টমস হাউস থেকে এককভাবে সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে সরকার।
BBS cable ad

আমদানী/রপ্তানী এর আরও খবর: