দিয়াবাড়ী পুলিশ লাইনে নিজ অর্থায়নে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট ব্যারাক করে দিচ্ছে আবুল খায়ের গ্রুপ
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপ। দেশের যেকোনো প্রয়োজনে ঝাপিয়ে পড়ে সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে। করোনা মহামারীর শুরু থেকেই প্রচারবিমুখ এ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি নিরবে কাজ করে চলেছে।
পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় দিন আনে দিন খায়, অসহায়. দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের পাশে দাড়িয়েছে আবুল খায়ের গ্রুপ।
ঢাকার গুরুত্বপূর্ন বেশ কয়েকটি স্থানে, চট্টগ্রাম জেলা, চট্টগ্রাম মহানগর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে চলেছে আবুল খায়ের গ্রুপ। যতদিন মানুষের প্রয়োজন ততদিন তাদের এই খাদ্যসমাগ্রী সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
সম্প্রতি আবুল খায়ের গ্রুপ সম্পূর্ন নিজস্ব অর্থায়নে উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টর এর দিয়াবাড়ীতে "দিয়াবাড়ী পুলিশ লাইন" এ বাংলাদেশ পুলিশ এর পুরুষ সদস্যদের আবাসনের জন্য ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট ব্যারাক তৈরী করে দিচ্ছে। আধুনিক প্রয়ুক্তি ও বিশ্বমানের শীট. নিজস্ব স্টীল কারখানায় তৈরী নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে উন্নতমানের আবাসন তৈরি করার কাজ চলমান রয়েছে।।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার কার্যকর কোন প্রতিষেধক নেই। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ঝুকিপূর্নদের জীবন বাচাতে সবথেকে বেশি প্রয়োজন অক্সিজেন এর। কিন্ত বাংলাদেশে অক্সিজেন এর যথেষ্ট ঘাটতি থাকায় আক্রান্তদের চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে এমন খবরে এগিয়ে আসে আবুল খায়ের গ্রুপ। আবুল খায়ের গ্রুপের একেএস প্লান্ট তাদের উৎপাদিত অক্সিজেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। করোনা চিকিৎসায় দেশের সব সরকার নির্ধারিত হাসপাতাল ও সেনানিবাসের সব হাসপাতালকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করবে আবুল খায়ের গ্রুপ।
গত বুধবার ঢাকা সেনানিবাসে মেজর জেনারেল মো. এনায়েতউল্লাহ বিএসপি,এনডিইউ, পিএসসি এর সাথে সাক্ষাত করে ১০০ সিলিন্ডার অক্সিজেন হস্তান্তর করে আবুল খায়ের গ্রুপ। এর আগে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ হাসপাতালকে ৩০০ সিলিন্ডার অক্সিজেন সরবরাহ করে।
আবুল খায়ের গ্রুপের একেএস প্লান্ট বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্লান্ট । এটি স্টীল উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করে। এটি । যদিও আবুল খায়ের গ্রুপের একেএস প্লান্ট এর উৎপাদিত অক্সিজেন বিক্রয়ের জন্য নয়। কিন্তু মানবিক কারনে এগিয়ে এসেছে আবুল খায়ের গ্রুপ। দেশের মানুষকে সাহায্য করার জন্য আবুল খায়ের গ্রুপ সিলিন্ডারে অক্সিজেন ফিলিং ব্যবস্থা সংযোজন করে। এরপর বিদেশ থেকে আমদানীকৃত ৩০০ সিলিন্ডারে অক্সিজেন ফিলিং সম্পন্ন করে।
বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক এনজিপি,এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি এর অনুরোধে কর্মহীন, অসহায় ৫৫০০ নৌযান শ্রমিককে খাদ্যসামগ্রী সহায়তা দিয়েছে আবুল খায়ের গ্রুপ।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আবুল খায়ের গ্রুপ এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন চিকিৎসা ও নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান অব্যাহত রয়েছে । ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোশাক (পিপিই), মাস্ক, গ্লাভস, বিশেষ নিরাপত্তা চশমা, থার্মোমিটারসহ বিভিন্ন সামগ্রী হস্তান্তর করে চলেছে আবুল খায়ের গ্রুপ।







