মিগুয়েল ডি সার্ভান্টিস সাভেদ্রার জন্মদিন আজ

‘ডন কিহোতে’কে ধরা হয় ইউরোপের প্রথম আধুনিক উপন্যাস। এর লেখক হিসেবে সারাবিশ্বের সাহিত্যপ্রেমীরা মিগুয়েল ডি সার্ভান্টিস সাভেদ্রাকে চেনেন। তিনি সংক্ষেপে সার্ভান্টিস নামে বেশি পরিচিত। তাকে বলা হয়, ‘প্রিন্স অব উইটস’। খ্যাতিমান এ ঔপন্যাসিক, কবি ও নাট্যকার আনুমানিক ১৫৪৭ সালের এ দিনে (২৯ সেপ্টেম্বর) স্পেনের কাস্টিলিয়ানে জন্মগ্রহণ করেন।
সার্ভান্টিসকে ১৫৪৭ সালের ৯ অক্টোবর ব্যাপ্টাইজ করা হয়। চার্চে রাখা ব্যাপ্টাইজমের তথ্য থেকে তার জন্ম তারিখ অনুমান করা হয়। তার বাবার নাম রদ্রিগো সার্ভান্টিস ও মা লিওনর। সার্ভান্টিসের শৈশব ও তরুণ বয়স সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়।
বেশ নামকরা পরিবার হলেও তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। আবার কেউ কেউ বলেন সার্ভান্টিস ইউনিভার্সিটি অব সালামাঙ্কায় পড়েছেন। তবে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় না। আবার অনেকে বলেন তিনি কর্ডোভা বা সেভিলের জেসুইটের কাছে পড়াশোনা করেছেন। ১৫৬৯ সালে তিনি ইতালীর রোমে যান। স্পেন থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন কি-না তা নিয়েও নানান তর্ক রয়েছে। তবে সেখানে তিনি রেনেসাঁ প্রভাবিত চিত্রকলা, স্থাপত্য ও কবিতার সঙ্গে পরিচিত হন। যা তার সাহিত্যিক জীবনে কাজে লাগে।
ইতালীতে তিনি একজন কার্ডিনালের চেম্বার এ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। পরে স্পেনিশ নৌবাহিনীতে যোগ দেন। ১৫৭৫ সালে জলদস্যুদের হাতে বন্দি হন। টাকার বিনিময়ে ৫ বছর পর তিনি ছাড়া পান। এর পর মাদ্রিদে পরিবারের কাছে ফিরে আসেন এবং নানান ধরনের চাকরির সঙ্গে যুক্ত হন। নানান শহর ঘুরে ১৬০৭ সালে আবার মাদ্রিদে থিতু হন। সেখানে জীবনের শেষ ৯ বছর কাটান। দেখে যান নিজের লেখক খ্যাতি।
১৫৮৫ সালে সার্ভান্টিস ‘লা গালাটিয়া’ নামের একটি উপন্যাস প্রকাশ করেন। ১৬০৫ সালে প্রকাশ হয় ‘ডন কিহোতে’র প্রথম খণ্ড। দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশ হয় ১৬১৫ সালে। পশ্চিমা সাহিত্যে এটি ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত। বলা হয় থাকে বিশ্ব সাহিত্যের সেরা কাজগুলো অন্যতম এটি। স্পেনিশ ভাষার উপর বইটির দারুণ প্রভাব রয়েছে। এতে ১৫ শতকের ইউরোপের উজ্জ্বল চিত্র ফুটে উঠে। বইটি বাংলায়ও অনুদিত হয়েছে। তার লেখা অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে নভেলাস ইজেম্পালারস ও ইন্ট্রেমেসেস।
সার্ভান্টিস ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল মাদ্রিদে মারা যান।