শিরোনাম

South east bank ad

পুঁজিবাজারে অধিকাংশ খাতের শেয়ারে ইতিবাচক রিটার্ন

 প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   শেয়ার বাজার

পুঁজিবাজারে অধিকাংশ খাতের শেয়ারে ইতিবাচক রিটার্ন

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে সূচকে ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা গেছে। আলোচ্য সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বেড়েছে। সূচক বাড়লেও এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেন‌দেন কমেছে ৭ শতাংশের বেশি। গত সপ্তাহে ডিএসইতে অধিকাংশ খাতের শেয়ারে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫২ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪ হাজার ৮৩১ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ২২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৮৬০ পয়েন্ট। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে ৭ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ১ পয়েন্ট।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৮৬টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪১টির, কমেছে ১০১টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টির। আর লেনদেন হয়নি ২৭টির। গত সপ্তাহে সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, সিটি ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে দৈনিক গড়ে ৩৫৮ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে যা ছিল ৩৮৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সে হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পরিস্থিতি কিছুটা স্পষ্ট হবে এমন প্রত্যাশা বাজারের উত্থানে ভূমিকা রেখেছে। তবে কোনো ইতিবাচক প্রণোদনা না থাকায় ঝুঁকিভীত বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিনিয়োগে অংশগ্রহণ কমিয়ে দেয়ায় বাজারে মাঝেমধ্যে অস্থিরতা লক্ষ করা গেছে।

খাতভিত্তিক লেনদেনে গত সপ্তাহে বস্ত্র খাতের আধিপত্য ছিল। লেনদেনচিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত। ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। প্রকৌশল খাত ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকার চতুর্থ অবস্থানে ছিল। আর ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে চারটি খাত বাদে বাকি সব খাতের শেয়ারেই ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে সেবা ও আবাসন খাতে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩ দশমিক ২৭ এবং কাগজ ও মুদ্রণ খাতে ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন ছিল। গত সপ্তাহে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এছাড়া সিরামিক খাতে দশমিক ৮১ ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতে দশমিক ৫৮ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন ছিল।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই গত সপ্তাহে দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে ১৩ হাজার ৬৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৩ হাজার ৬২৪ পয়েন্ট। সিএসসিএক্স সূচকটি সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৪১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৮ হাজার ৪০৪ পয়েন্ট।

সিএসইতে গত সপ্তাহে ৪৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ১২৮টির আর দর অপরিবর্তিত ছিল ২৪টির।

BBS cable ad

শেয়ার বাজার এর আরও খবর: