ছয় ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে ৪৪ কোটি টাকা জরিমানা

শেয়ারদরে কারসাজির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে ছয় ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৭২তম কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তথ্যানুসারে ২০২১ সালের ২৪ মে থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত নিউ লাইন ক্লোদিংস লিমিটেডের শেয়ারদর ও লেনদেন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি তদন্ত করে বিএসইসি। তদন্তে শেয়ারদর কারসাজির প্রমাণ পেয়ে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে মো. রিয়াজ মাহমুদ সরকারকে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা, আবুল বাশারকে ৪ কোটি ২ লাখ, সরকার প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিংকে ৪ কোটি ২৮ লাখ, মো. সেলিমকে ১ কোটি ৬৯ লাখ ও জামিলকে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে কমিশন।
অন্যদিকে ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনসংক্রান্ত কার্যক্রম তদন্ত করে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে এনআরবি ব্যাংকের তৎকালীন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ কামরুল হাসানকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। পাশাপাশি পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সময়ে শেখ ফারুক আহমেদকে ৩০ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করে কমিশন।
সভায় টেকসই বন্ড তথা সামাজিক বন্ড, কমলা বন্ড, লিঙ্গভিত্তিক বন্ড ও সবুজ বন্ড ইস্যুর সুযোগ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ঋণ সিকিউরিটিজ) বিধিমালা, ২০২১-এর সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়। খসড়া সংশোধনী জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।
কমিশন সভায় এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় অবলুপ্তির জন্য ফান্ডটির ট্রাস্টি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে (বিজিআইসি) নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি ফান্ডের অর্থ ইউনিটহোল্ডারদের পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়া সভায় ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে কারসাজিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) জড়িত কর্মচারীদের বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। একই সঙ্গে মো. আবুল খায়ের ও তার সহযোগীদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।