১০ দিন পর পুঁজিবাজারে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন গতকাল ১০ দিন পর হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। লেনদেন বাড়লেও এদিন ডিএসইর সার্বিক সূচক ৯ পয়েন্ট কমেছে। অন্যদিকে দেশের আরেক পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর সূচক কয়েক মিনিট ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এরপর সূচকের ছন্দপতন ঘটলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচক আবারো ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। তবে শেষ দিকে শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারায় সূচক। দিন শেষে সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ৪২০ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ এদিন সামান্য বেড়ে ২ হাজার ১০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ১০২ পয়েন্ট। আর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ১৮৫ পয়েন্ট।
ডিএসইতে গতকাল ১ হাজার ৩৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৯৭৫ কোটি ৮৬ টাকা। এর আগে গত ৩ আগস্ট এক্সচেঞ্জটিতে ১ হাজার ১৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৪০০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৪টির, কমেছে ১৬৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৭২টির বাজারদর। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, ইসলামী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের শেয়ার।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ৯ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ২ শতাংশ দখলে নিয়েছে বস্ত্র খাত। ১০ দশমিক ২ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত ৯ দশমিক ৯ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ স্থানে ছিল। আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।