শিরোনাম

South east bank ad

আরামিট সিমেন্ট ও নূরানী ডায়িংয়ের কারখানা বন্ধ পেয়েছে ডিএসইর পরিদর্শন দল

 প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   শেয়ার বাজার

আরামিট সিমেন্ট ও নূরানী ডায়িংয়ের কারখানা বন্ধ পেয়েছে ডিএসইর পরিদর্শন দল

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালন কার্যক্রম যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে কারখানা ও প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্মকর্তারা। এরই ধারাবাহিকতায় সিমেন্ট খাতের আরামিট সিমেন্ট লিমিটেড ও বস্ত্র খাতের নূরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে উৎপাদন বন্ধ পান এক্সচেঞ্জটির কর্মকর্তারা। এর মধ্যে গতকাল আরামিট সিমেন্ট এবং তার আগের দিন নূরানী ডায়িংয়ের কারখানা পরিদর্শন করা হয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরামিট সিমেন্টের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ১০৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যে ৪৫ দশমিক ৯২ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৪ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) আরামিট সিমেন্টের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৯৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ টাকা ১৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮১ পয়সায়।

গতকাল ডিএসইতে আরামিট সিমেন্টের শেয়ার সর্বশেষ ১৩ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নূরানী ডায়িংয়ের অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১২ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৩০। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ২৮ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৫১ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

নূরানী ডায়িং চার বছর ধরে নিরীক্ষিত ও অনিরীক্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না। কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০-২১ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ‌শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৯৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪২ পয়সা। ২০১৯-২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের সর্বশেষ ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল নূরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার। এর পর থেকে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

ডিএসইতে গতকাল নূরানী ডায়িংয়ের শেয়ার সর্বশেষ ৩ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ২ টাকা ৮০ থেকে ৬ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

BBS cable ad

শেয়ার বাজার এর আরও খবর: