১৩ মাস পর পুঁজিবাজারে লেনদেন ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ছাড়াল

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল দেশের পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন দুটোই বেড়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে দশমিক ৩৯ শতাংশ। পাশাপাশি এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ১৩ মাস পর ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও শেষদিকে সূচক কিছুটা নিম্নমুখী ছিল। দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ২১ দশমিক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ৬১৪ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ৫ দশমিক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ১৮৩ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস এদিন সামান্য কমে ১ হাজার ২২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ২৩০ পয়েন্ট।
গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, রবি আজিয়াটা, বিবিএস কেবলস ও বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ার।
ডিএসইতে গতকাল ১ হাজার ৪৪১ কোটি ৯০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৩৩৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর আগে গত বছরের ১১ আগস্ট ডিএসইতে ২ হাজার ১০ কোটি ৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৪০০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪৮টির, কমেছে ১২৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৫টির বাজারদর।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ইতিবাচক থাকায় ও সরকারি স্থায়ী আয়ের সিকিউরিটিজের সুদহার ধীরে ধীরে কমার কারণে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৯ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে প্রকৌশল খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে নিয়েছে জীবন বীমা খাত। ১০ দশমিক ১ শতাংশ লেনদেন নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। বস্ত্র খাত ১০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ স্থানে ছিল। আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা ব্যাংক খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
গতকাল ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ২ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ৪ দশমিক ৯ ও সাধারণ বীমা খাতে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন ছিল। অন্যদিকে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ২ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এছাড়া সেবা ও আবাসন খাতে ১ ও ব্যাংক খাতে দশমিক ৫ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন ছিল।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ১০ দশমিক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৯ হাজার ৬৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই এদিন ২২ দশমিক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৭২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৫৫ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ৮৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৬টির বাজারদর।