প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নে সবচেয়ে অগ্রগামী দেশ: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তিত পরিস্থিতি, এসডিজি-২০৩০ ও রূপকল্প-২০৪১ বিবেচনা করে জাতীয় শিল্পনীতি-২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিল্পখাতে উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই শিল্পসমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নে সবচেয়ে অগ্রগামী দেশ। শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে কীভাবে সাফল্যের সোনালি বন্দরে পৌঁছাতে হয় বাংলাদেশ তা প্রমাণে সক্ষম হয়েছে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯টি সেরা শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৮ দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি ও এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
শিল্প সচিব কে এম আলী আজম সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১ সালে প্রণয়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে নতুন শিল্পনীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। শিল্পখাতের উন্নয়নে ইতোমধ্যে একটি পরিকল্পিত রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি বিশ্বমানের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডাটাবেজ এবং শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শিল্পখাতে উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই শিল্পসমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নে সবচেয়ে অগ্রগামী দেশ। শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে কীভাবে সাফল্যের সোনালি বন্দরে পৌঁছাতে হয়, আজকের বাংলাদেশ তা প্রমাণে সক্ষম হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ব্যাংকগুলোর গতানুগতিক মাইন্ড-সেটের পরিবর্তন করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-উদ্যোক্তাদের জন্য পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্প সচিব কে এম আলী আজম বলেন, বঙ্গবন্ধুই সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে শিল্প বিনিয়োগ নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে শিল্পখাতকে নীতি সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রূপকল্প-২০৪১ অনুসারে শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সর্বাধিক। এ দায়িত্ব পালনে শিল্প মন্ত্রণালয় আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।