ভারতে সংক্রমণ কমলেও প্রাণহানি আবার ছাড়াল ৪ শতাধিক

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আবার বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা। এছাড়া শনাক্ত রোগী কমার পাশাপাশি গত একদিনে ভারতে বেড়েছে সুস্থতার হারও। ফলে দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে।

আজ রোববার ২২ আগস্ট ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ৯৪৮ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগী সংখ্যা কমেছে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। সর্বশেষ এ সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ ২৪ হাজার ২৩৪ জনে।

এছাড়া গতকাল শনিবার ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা কমলেও আজ রোববার তা ফের ৪০০ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৪০৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় গত একদিনে মৃত্যু বেড়েছে ২৮ জন। মহামারি করোনা ভাইরাসে শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন।

এদিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে আজ রোববারও ভারতে অব্যাহত রয়েছে স্বাভাবিক চিত্র। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত রোগীর তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে আজ রোববার ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে।

গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৪৮৭ জন মানুষ। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩১ হাজার। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৩৯৮ জনে। গত ১৫২ দিনের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।

ভারতের মোট শনাক্ত রোগীর ১.০৯ শতাংশ বর্তমানে সক্রিয় রোগী। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে এই হার সর্বনিম্ন। এদিকে গতকাল শনিবারের মতো আজ রোববারও ভারতে সুস্থতার হার বেড়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭.৫৭ শতাংশ। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে যা সর্বোচ্চ।

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার ১.৯৫ শতাংশ। টানা ২৭ দিন ধরে দেশটিতে এ হার ৩ শতাংশের নিচেই রয়েছে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, আগস্ট মাসের ২১ তারিখ শনিবার পর্যন্ত ভারতে মোট ৫০ কোটি ৬২ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮১ জনের।