শিরোনাম

South east bank ad

শুল্ক অনিশ্চয়তায় আতঙ্কে ১০ লাখ পোশাক শ্রমিক

 প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   গার্মেন্টস/টেক্সটাইল

শুল্ক অনিশ্চয়তায় আতঙ্কে ১০ লাখ পোশাক শ্রমিক

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাল্টা শুল্ক আরোপে (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) দেশের পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। দেশটির সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ইতিবাচক ফল না আসায় তাঁদের উদ্বেগ আরো বেড়েছে। তাঁরা মনে করছেন, সর্বশেষ ৩৫ শতাংশ মার্কিন শুল্ক কার্যকর হলে দেশের পোশাক খাত বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাবে। এ জন্য দেশের রপ্তানিকারকদের ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক দিয়ে মার্কিন বাজারে পণ্য রপ্তানি করতে হবে।

রপ্তানিকারক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমন সহস্রাধিক কারখানার অন্তত ১০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

এই শুল্ক অনিশ্চয়তায় কার্যাদেশ হারাবে উদ্যোক্তারা।
একই সঙ্গে বড় প্রতিযোগী ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তানসহ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা হারাবে দেশ। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশটির সঙ্গে তৃতীয় দফায় বৈঠক করতে চায়। এ জন্য অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করছে। সরকারের বিশ্বাস, আলোচনা দীর্ঘায়িত হলেও ফলপ্রসূ হবে।

এই প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের আশা, সরকার দর-কষাকষির জন্য প্রয়োজনে লবিইস্ট নিয়োগসহ অন্য দ্বিপক্ষীয় চুক্তি নিশ্চিত করুক। তবে তাঁরা এটাও মনে করেন, আলোচনার বিষয়গুলো বাণিজ্য ও শুল্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। নন-ডিজক্লোজার চুক্তি দেশটির সঙ্গে শুল্ক সুবিধা কমিয়ে আনায় বড় বাধা। এ জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যা প্রাথমিকভাবে প্রস্তাবিত ৩৭ শতাংশ থেকে সামান্য হ্রাস।
বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ২০ শতাংশ শুল্কহার নিশ্চিত করেছে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এটি ২৯ শতাংশ; কিন্তু পাকিস্তান আশা করছে, তারা এটি ১০ শতাংশে নিষ্পত্তি করতে পারবে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকতে বাংলাদেশকে ১ আগস্টের সময়সীমার মধ্যে আরো অনুকূল দ্বিপক্ষীয় চুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৮৪০ কোটি ডলারের, যার মধ্যে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানিও ছিল। একই বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের আমদানি ছিল ২২০ কোটি ডলারের।

এ ব্যাপারে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পাল্টা শুল্কারোপের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দর-কষাকষির জন্য লবিইস্ট নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। তবে আলোচনার মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে সরকারের লবিইস্ট নিয়োগের বিষয়ে তেমন আগ্রহ নেই। অবশ্য দেশটির সঙ্গে আগামী সপ্তাহে তৃতীয় পর্যায়ের বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে বাণিজ্য উপদেষ্টার।

BBS cable ad

গার্মেন্টস/টেক্সটাইল এর আরও খবর: