শিল্পোদ্যোক্তা সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মৃত্যু
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গতকাল শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন ব্যক্তিগত সচিব এমডি সোহেল। সাঈদ হোসেন চৌধুরী স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। মরহুমের জানাজা আজ বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর পরীবাগের শাদাত নূর ম্যানসনে অনুষ্ঠিত হবে।
সাঈদ হোসেন চৌধুরী ছিলেন কর্ণফুলী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, ভাষাসৈনিক, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান। একই সঙ্গে তিনি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও কর্ণফুলী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবের হোসেন চৌধুরীর বড় ভাই। পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় তিনি নিজেও দেশের শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সাঈদ হোসেন চৌধুরী ছিলেন এইচআরসি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ১৯৯১ সালে তার হাত ধরে এইচআরসি গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়, যা সময়ের ব্যবধানে দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠীতে রূপ নেয়। প্রতিষ্ঠানটি শুরুর দিকে শিপিং খাতে কাজ শুরু করলেও পরে তা বিস্তৃত হয় রিয়েল এস্টেট, মিডিয়া, ফাইন্যান্স, তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন, আবাসন, জাহাজ নির্মাণ, কৃষি, পরিবহন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণসহ বহু খাতে। দেশের চা শিল্পের উন্নয়নেও তার অবদান রয়েছে। এইচআরসি গ্রুপ বর্তমানে দেশের অন্যতম চা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত।
বহুমাত্রিক এ উদ্যোক্তা ব্যবসার বাইরেও দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন আন্তর্জাতিক পরিসরে। সাঈদ হোসেন চৌধুরী স্পেনে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও ফোরামের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং বিদেশী বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করেছেন। সাঈদ হোসেন চৌধুরী ওয়ান ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি নিউ এজ লিমিটেড, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড ও বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ওশেনগোয়িং শিপওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। দেশের শিপিং খাতের সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে সাঈদ হোসেন চৌধুরী এ খাতের উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছেন।
