শিরোনাম

South east bank ad

প্রকাশিত হলো পটুয়াখালী জেলা ব্র্যান্ডবুকের দ্বিতীয় সংস্করণ

 প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত হলো পটুয়াখালী জেলা ব্র্যান্ডবুকের দ্বিতীয় সংস্করণ

জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে অবিরাম ছুটে চলা বাংলাদেশ আজ বহির্বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। পিতার স্বপ্নকে পূরণ করতে প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয়ে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর এ প্রত্যয় অর্জনের জন্য প্রতিটি জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ন রেখে এর নিজস্বতাকে আপন মহিমায় বিকশিত করার জন্য জেলা ব্র্যান্ডিং একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ এবং দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। এই উদ্যোগকে আরো বিকশিত ও আক্ষরিক রূপ দেওয়ার জন্য পটুয়াখালীর শিল্প-সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও দর্শনীয় স্থানগুলো বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিপ্রায়ে জেলা প্রশাসন, পটুয়াখালী প্রকাশ করেছে জেলা ব্র্যান্ডবুকের দ্বিতীয় সংস্করণ। সরকারি দায়িত্ব ও নির্দেশনা পালনের সঙ্গে যখন একটি জনপদের প্রতি ওই জনপদের মানুষের আন্তরিকতা, মমত্ববোধ আর ভালোবাসা মিশে যায়, তখন কাজটি শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত হয়। ‘কুয়াকাটা অনন্যা, পটুয়াখালী সাগরকন্যা’ শিরোনামে পটুয়াখালী জেলা ব্র্যান্ডবুকটির প্রচ্ছদ আকর্ষণীয় ও পরিপাটি। বইটির সার্বিক তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।

সাগরকন্যা পটুয়াখালীর পর্যটনশিল্পের টার্নিং পয়েন্ট অনিন্দ্যসুন্দর কুয়াকাটার মসৃণ তপ্ত বালুকাময় তট, ঐতিহাসিক কুয়া, ক্র্যাব আইল্যান্ড, গঙ্গামতির চর, ফাতরার বন, শুঁটকি পল্লী, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, মিস্ত্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, রাখাইনপল্লী, প্রাচীন কাঠের নৌকাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের ঝকঝকে আলোকচিত্রসহ তথ্যবহুল উপস্থাপন পটুয়াখালীর ব্র্যান্ডিংয়ে পর্যটনশিল্প খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। পর্যটকদের জন্য আছে হোটেল-মোটেলের সার্বিক তথ্য ও সেবার তথ্য। পায়রাবন্দর আর তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্লোবাল অর্থনীতিতে দিয়েছে অনন্যমাত্রা। অবকাঠামোগত উন্নয়নে নতুন সংযোগ শেখ হাসিনা সেনানিবাস, কোস্টগার্ড, শেখ রাসেল পার্ক ও পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল সেতু যোগাযোগে এনে দিয়েছে সড়কে উড়ে বেড়ানোর স্বাদ। সেই সঙ্গে যোগ হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পায়রা সেতু।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে জেলা প্রশাসনের এক প্রশংসনীয়, নান্দনিক ও আইকনিক স্থাপনা ‘বঙ্গবন্ধু তোরণ’, যাতে টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তনের ঘটনাগুলো।

সম্পাদক ও সম্পাদনা পর্ষদের আন্তরিকতা বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে। নান্দনিক আলোকচিত্র আর নির্ভুল মুদ্রণসহ ও আন্তরিকতার ছাপ রয়েছে বইটির অবয়ব জুড়ে।

গুণগত মানসম্পন্ন, আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল এই জেলা ব্র্যান্ডবুকটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বদরবারে পটুয়াখালীর ব্র্যান্ডিংকে করবে আরো সমাদৃত।

BBS cable ad

জেলা প্রশাসক এর আরও খবর: