শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় চির নিদ্রায় শায়িত হলেন শিল্পপতি এম এ হাসেম
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চির নিদ্রায় শায়িত হলেন পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান, দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এ হাসেম। দুপুরে বানানী কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। এর আগে রাজধানীর আযাদ মসজিদে দুই দফা জানাজা হয় স্বনামধন্য এ ব্যবসায়ীর।
বুধবার দিবাগত রাতে পৃথিবীর মায়া তেগ করে পরপারে পারিজমান দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম। শুক্রবার বাদ জুম্মা গুলশানের আযাদ মসজিদে তাঁর প্রথম দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় দফা জানাজা হয়। সজন সহকর্মিরা বলছেন, এম এ হাশেমের চির প্রস্থানে অপূরনিয় ক্ষতি হলো দেশের অর্থনীতির।

সেখান থেকে মরদেহ নেয়া হয় বনানী কবর স্থানে। তার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এম এ হাশেমের দেখানো পথেই হাটবেন তারা।
এমএ হাসেম ছিলেন সফল শিল্পোদ্যোক্তা, ক্রীড়ানুরাগী এবং সর্বোপরি একজন সমাজসেবী। রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট জনাব এম. এ. হাসেম অষ্টম জাতীয় সংসদে সদস্য হিসেবে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৫৯ সালে হাসেম টোব্যাকো নামে একটি বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানই হয় তাঁর এগিয়ে চলার প্রথম পদক্ষেপ। একে একে ২০টির অধিক বিভিন্ন গতিশীল শিল্প উদ্যোগের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন বর্তমানের এই পারটেক্স গ্রুপ। যার সর্বশেষ উদ্যোগ প্রস্তাবিত পারটেক্স সুগার মিলস্ লিমিটেড। এম. এ. হাসেম ব্যাংকিং এবং ইন্স্যুরেন্স সেক্টরেও অগ্রগামীদের একজন। ২০০২ সালে জনতা ও সোনালী ব্যাংক কর্তৃক তিনি অন্যতম সেরা কাস্টমারের স্বীকৃতি অর্জন করেন। জনাব এম. এ. হসেম শিক্ষাকে করেছেন তাঁর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু। সর্বক্ষেত্রে শিক্ষা প্রসার এবং উচ্চশিক্ষা সহজলভ্য করার জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী উদ্যোগ দেশের প্রথম বেসরকারি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির তিনি প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর এবং চেয়ারম্যান। এছাড়াও এম. এ. হাসেম নোয়াখালী ডিগ্রি কলেজ এবং এম. এ. হাসেম নোয়াখালী ডায়বেটিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। মডার্ন এফিসিয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট, উৎপাদনে গতিবৃদ্ধি ও মান নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সুব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য জনাব হাসেম পারটেক্স গ্রুপের সমস্ত উনিটকে পাঁচটি কমপ্লেক্সে বিভক্ত করেন। তাঁর দিক-নির্দেশনায় এবং পাঁচটি কমপ্লেক্সেও মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্ট ও ব্যবসা প্রশাসনে বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত তাঁর পাঁচ পুত্রের গতিশীল নেতৃত্বে একদল সুদক্ষ ও অভিজ্ঞ ম্যানেজমেন্ট টিম চালনা করছেন এ বিশাল কর্মযজ্ঞ; যা দেশের অর্থনীতিতে রাখছে উল্লেখযোগ্য অবদান। করোনা মহামারীতে দেশ ও জনগনের পাশে ছিলেন এমএ হাসেম।

দাফন কার্যক্রম শেষে দেশের অন্যতম শিল্প উদ্যোগতা এম এ হাশেমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় সংগ্রামী, উদ্যমী এক মানুষের গল্পগাথা।



