বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের মৃত্যুতে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রীর শোক প্রকাশ
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)‘র সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রে আক্রান্ত হয়ে সাজ্জাদ হোসেন আজ রোববার আইসল্যান্ডের রিকজাভিকের একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় রাত ৩.৩০ মি: ইন্তেকাল করেন।ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একপুত্রসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন|
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আজ রোববার এক শোকবার্তায় বলেন, জনাব সাজ্জাদ ছিলেন দেশের কম্পিউটার বিপ্লবের অন্যতম এক অগ্রদূত। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রথম নিবাচিত সভাপতি হিসেবে সাজ্জাদ হোসেন কম্পিউটারের প্রযোজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরার লক্ষ্যে দেশে প্রথম কম্পিউটার মেলা আয়োজনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জনাব মোস্তাফা জব্বার ষাটের দশকে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনে সাজ্জাদ হোসেনের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, বুয়েটের জিএস হিসেবে দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে তার অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে জনাব সাজ্জাদ হোসেন ছিলেন একজন কর্মবীর। তিনি বাংলাদেশে আইবিএম এর সেবা দাতা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও আইবিএম এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দীর্ঘ কর্মজীবনে দক্ষতার নজির স্থাপন করেন। বিএসএস এর ১৯৯৬ পরবর্তী দ্বিতীয় নির্বাচিত সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের কম্পিউটার ট্রেড বডিতে তার অসাধারণ নেতৃত্ব কম্পিউটার শিল্পকে এক অনন্য মাত্রায় উপনীত করেছে, - কম্পিউটার জনপ্রিয় করতে ভূমিকা রেখেছে। তার মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুরণ হবার নয়। মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্নার মাগফিরাত কামনা করেন ও শো্ক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। উল্রেখ্য কানাডায় অবস্থানরত একমাত্র ছেলে রনি সাজ্জাদের সাথে কিছু দিন অবস্থানের উদ্দেশে কানাডায় যাত্রাকালে গত প্রায় দুই সপ্তাহ আগে পথিমধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে আইসল্যান্ডের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় জনাব সাজ্জাদ হোসেন ইন্তেকাল করেন