সমুদ্রগামী মাদার ভেসেল কিনবে ক্রাউন সিমেন্ট

ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি একটি ব্যবহৃত সমুদ্রগামী মাদার ভেসেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সার্কুলেশন রেজুলেশনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুসারে ৫৩ হাজার ৫৬৯ টন বহন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ব্যবহৃত সমুদ্রগামী মাদার ভেসেল কিনবে ক্রাউন সিমেন্ট। এটি কিনতে কোম্পানিটির ব্যয় হবে ১৪৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে চলতি ২০২৫-২৬ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ক্রাউন সিমেন্টের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ২৫ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৩ টাকা ১১ পয়সায়।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে ক্রাউন সিমেন্টের ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৫২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬ টাকা ৭৪ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৬৬ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ২১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে ক্রাউন সিমেন্টের ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৭৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ১১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএনভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৯৯ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে ক্রাউন সিমেন্টের ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ১১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৫৪ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএনভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ২২ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ক্রাউন সিমেন্ট। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ৫ টাকা ৭৯ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ১৮ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ক্রাউন সিমেন্ট। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৮৯ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৬৯ পয়সায়।

ক্রাউন সিমেন্টের সর্বশেষ ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ ওয়ান’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি টু’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত ব্যাংক ঋণের অবস্থান এবং রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)।

২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ক্রাউন সিমেন্টের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪০২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৪ কোটি ৮৫ লাখ। এর ৫২ দশমিক ২২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ৫৮, বিদেশী বিনিয়োগকারী দশমিক শূন্য ৫ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২৯ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।