দুধের চাহিদা মেটাতে নতুন করাখানা নির্মাণ

দুধের চাহিদা মেটাতে দুগ্ধ কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চট্টগ্রামের পটিয়ায় এ দুগ্ধ কারখানা স্থাপন করা হবে।
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ কোটি টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে ২৪ কোটি টাকা। বাকি ৮ কোটি টাকা মিল্ক ভিটার নিজস্ব তহবিল থেকে মেটানো হবে।
‘দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুগ্ধ কারখানা’ শীর্ষক প্রকল্পের বিষয় যাচাই-বাছাই করার জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছরে কাজ শুরু হয়ে ২০১৮ সালের জুন নাগাদ কাজ শেষ করবে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা)।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
প্রকল্পটি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্প নেওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে মিল্ক ভিটা বলছে, ক্ষুদ্র ও দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায়ীদের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদন করা হবে। পাশাপাশি দৈনিক চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যসামগ্রীর বহুমুখীকরণ করা হবে। একই সঙ্গে দুধের ব্যবহার বৃদ্ধি করে পুষ্টির মান বজায় রাখা হবে।
এ ছাড়াও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত করা, তৃণমূল পর্যায়ে উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ বৃদ্ধি করে শিল্পায়ন নিশ্চিত করা, চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে এনে দুগ্ধ মৌসুমে অতিরিক্ত দুগ্ধ দিয়ে ঘি ও মাখন তৈরি করাসহ গুঁড়াদুধের আমদানি কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রামের পটিয়ায় একটি দুগ্ধ পাস্তরাইজেশন ও প্যাকেজিং কারখানা স্থাপন করা হবে, যাতে দেশে বিরাজমান দুধের ঘাটতি দূর করা যায়। এর ফলে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষেত্রটি বিপুলভাবে উপকৃত হবে। এ ছাড়া বৃহত্তর চট্টগ্রাম, সিলেট ও পাশের অন্য শহরগুলোতে ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ের মধ্যে টাটকা, নিরাপদ ও পাস্তুরিত তরল দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যসামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে।