শিরোনাম

South east bank ad

দিলদারের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা

 প্রকাশ: ১২ মে ২০১৭, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ব্যাংক

দিলদারের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা
আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের দেশে-বিদেশে হওয়া ব্যবসায়িক লেনদেনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা দিলদার ছেলের পক্ষে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার পর ফেইসবুকে তার বিরুদ্ধে সরব হন অনেকে। দেশের শীর্ষস্থানীয় অলঙ্কার ব্র্যান্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সোনা চোরাচালানের অভিযোগ তোলেন কেউ কেউ। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে দিলদার আহমেদের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে একটি অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছে বলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান। তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, “তার (দিলদার) বিরুদ্ধে অস্বচ্ছ ব্যবসায়িক লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে তিনি অস্বচ্ছ ব্যবসায় জড়িত বলে অভিযোগ উঠে।" এসব অভিযোগ তদন্তে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি বৃহস্পতিবার দিলদার আহমেদের দেশে-বিদেশে যাবতীয় লেনদেনের হিসাব চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। মইনুল খান বলেন, “দিলদার আহমেদের উত্তরা, গুলশান, মৌচাকে সোনার দোকান আছে। তিনি অনেক টাকার মালিক। তিনি আগে কী ধরনের ব্যবসা করতেন। এত টাকার মালিক কীভাবে হলেন সেটা জানার চেষ্টা করা হবে। “দেশে তো ১০ বছরে সোনার আমদানি নেই। সোনার খনিও নেই। এই সোনাগুলো তিনি কোথা থেকে কোন প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করছেন, দোকানে যেসব ডায়মন্ড বিক্রি করছেন সেগুলো আসল কি না। সেগুলোর ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া স্বচ্ছ আছে কি না, শুল্ক সঠিকভাবে পরিশোধ করছেন কি না- এসব তথ্য অনুসন্ধান করবে কমিটি।” বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তার ব্যাংক হিসাবের তথ্য নিয়ে কোনো অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মইনুল খান। দিলদারের বড় ছেলে সাফাতের জন্মদিনের পার্টির কথা বলে গত ২৮ মার্চ ঢাকার বনানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে বনানী থানায় একটি মামলা হয় শনিবার। এই মামলার অপর আসামিদের মধ্যে দুজন সাফাতের বন্ধু, বাকি দুজন তার দেহরক্ষী ও গাড়িচালক। ধর্ষিতা এক ছাত্রী  বলেন, “ধর্ষনের পর সাফাত তাকে বলেছিলেন, তারা সোনা চোরাচালান করেন। দুই একটা খুন বা ধর্ষণ করে পুলিশকে টাকা দিলে তাদের কেউ কিছু করতে পারবে না।”
BBS cable ad

ব্যাংক এর আরও খবর: