শ্বেতপত্রে কী থাকবে

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যে ছয়টি বিষয় থাকবে। সেগুলো হচ্ছে-আর্থিক ব্যবস্থাপনা, মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ব্যবস্থাপনার বাহ্যিক ভারসাম্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সরকারি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে শ্বেতপত্র তৈরির কমিটি গঠন করেছে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়। এই কমিটি আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শ্বেতপত্রে দেশের বিদ্যমান অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র থাকার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়ে সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপ, জাতিসংঘের টেকসই অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন ও স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে করণীয় বিষয়ের প্রতিফলন থাকবে।
এ বিষয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শ্বেতপত্র তৈরি হলে এতে একটি পথনির্দেশিকা পাওয়া যাবে। পরিস্থিতির ভিত্তি যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি পাওয়া উত্তরণের জন্য একটি পথনির্দেশিকা পাওয়া যাবে। এটি তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের পাশাপাশি মূল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে। দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে একটি গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
জানা গেছে, শ্বেতপত্র প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নজিরবিহীন নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অর্থনীতি পুনরায় সচল করা। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিরসনে কাঠামোগত সংস্কার করা। এ ছাড়াও নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো, দুর্নীতি দূর করা, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানো, কর ও শুল্কনীতির সংস্কার ও বিদেশি বিনিয়োগ আর্কষণ করা। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে দেশের অর্থনীতির ওপর একটি সামগ্রিক চিত্র থাকা প্রয়োজন।
প্রস্তাবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত দেড় দশকে দেশের অর্থনীতি বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জে পড়েছে। বিগত সরকারের চরম অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও অপরিণামদর্শী প্রকল্পের নামে দেশে বিদেশি ঋণ গ্রহণের ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে।
শ্বেতপত্র তৈরির কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে-বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। এর প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শ করে কমিটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য মনোনীত করবেন। কমিটির সদস্যরা হবেন অবৈতনিক। পরিকল্পনা কমিশন কমপ্লেক্সের কোনো একটি ভবনে হবে কমিটির দফতর। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ। সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থা শ্বেতপত্র কমিটির চাহিদা অনুসারে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করবে।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, আমি শ্বেতপত্র প্রকাশকে ইতিবাচক হিসেবে দেখি। কারণ বিগত সরকার গত ১৫ বছরে সর্বত্র যে দুর্নীতি, অনিয়ম করেছে সে সম্পর্কে দেশবাসীর জানা দরকার। পাশাপাশি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সবকিছু জেনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আগামীতে এ ধরনের কার্যকলাপ করতে কেউ সাহস পাবে না। শ্বেতপত্রে দেশের সার্বিক অর্থনীতির চিত্র পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে বিগত দিনের কার্যক্রম তুলে ধরা প্রয়োজন। কারণ একটি জাতির মেরুদণ্ড হচ্ছে শিক্ষা। সামনের দিনগুলো শিক্ষাব্যবস্থা কীভাবে চলবে তার একটি দিকনির্দেশনা শ্বেতপত্রে থাকা উচিত। আগামীতে শিক্ষার কারিকুলাম দেখে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা তারা তাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারবে। শুধু তাই নয়, কী ধরনের চাহিদা আগামীতে থাকতে পারে তারও একটি পূর্বাভাস থাকা প্রয়োজন। তবে শ্বেতপত্র তৈরি নিয়ে যারা কাজ করবেন আমার প্রত্যাশা তারা সার্বিক বিষয়ে বিবেচনা করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শ্বেতপত্রে দেশের বিদ্যমান অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র থাকার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়ে সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপ, জাতিসংঘের টেকসই অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন ও স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে করণীয় বিষয়ের প্রতিফলন থাকবে।
এ বিষয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শ্বেতপত্র তৈরি হলে এতে একটি পথনির্দেশিকা পাওয়া যাবে। পরিস্থিতির ভিত্তি যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি পাওয়া উত্তরণের জন্য একটি পথনির্দেশিকা পাওয়া যাবে। এটি তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের পাশাপাশি মূল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে। দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে একটি গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
জানা গেছে, শ্বেতপত্র প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নজিরবিহীন নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অর্থনীতি পুনরায় সচল করা। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিরসনে কাঠামোগত সংস্কার করা। এ ছাড়াও নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো, দুর্নীতি দূর করা, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানো, কর ও শুল্কনীতির সংস্কার ও বিদেশি বিনিয়োগ আর্কষণ করা। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে দেশের অর্থনীতির ওপর একটি সামগ্রিক চিত্র থাকা প্রয়োজন।
প্রস্তাবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত দেড় দশকে দেশের অর্থনীতি বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জে পড়েছে। বিগত সরকারের চরম অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও অপরিণামদর্শী প্রকল্পের নামে দেশে বিদেশি ঋণ গ্রহণের ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে।
শ্বেতপত্র তৈরির কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে-বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। এর প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শ করে কমিটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য মনোনীত করবেন। কমিটির সদস্যরা হবেন অবৈতনিক। পরিকল্পনা কমিশন কমপ্লেক্সের কোনো একটি ভবনে হবে কমিটির দফতর। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ। সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থা শ্বেতপত্র কমিটির চাহিদা অনুসারে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করবে।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, আমি শ্বেতপত্র প্রকাশকে ইতিবাচক হিসেবে দেখি। কারণ বিগত সরকার গত ১৫ বছরে সর্বত্র যে দুর্নীতি, অনিয়ম করেছে সে সম্পর্কে দেশবাসীর জানা দরকার। পাশাপাশি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সবকিছু জেনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আগামীতে এ ধরনের কার্যকলাপ করতে কেউ সাহস পাবে না। শ্বেতপত্রে দেশের সার্বিক অর্থনীতির চিত্র পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে বিগত দিনের কার্যক্রম তুলে ধরা প্রয়োজন। কারণ একটি জাতির মেরুদণ্ড হচ্ছে শিক্ষা। সামনের দিনগুলো শিক্ষাব্যবস্থা কীভাবে চলবে তার একটি দিকনির্দেশনা শ্বেতপত্রে থাকা উচিত। আগামীতে শিক্ষার কারিকুলাম দেখে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা তারা তাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারবে। শুধু তাই নয়, কী ধরনের চাহিদা আগামীতে থাকতে পারে তারও একটি পূর্বাভাস থাকা প্রয়োজন। তবে শ্বেতপত্র তৈরি নিয়ে যারা কাজ করবেন আমার প্রত্যাশা তারা সার্বিক বিষয়ে বিবেচনা করবেন।