আনোয়ারায় হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ডায়রিয়া

এম.এম.জাহিদ হাসান হৃদয় (আনোয়ারা):

করোনার প্রাদুর্ভাবের মাঝে হঠাৎ করে আনোয়ারায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ডায়রিয়া। প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তাররা। বেড না পেয়ে ফ্লোরে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।

আনোয়ারা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাক্তাররা বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে গরমের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা অভাব এইসমস্ত কারণেই প্রতিনিয়ত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই সময়টাতে সকলের স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরি বলে তারা মনে করেন।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডের বাইরে সারি সারি ডায়রিয়া রোগী শুয়ে আছেন। এমন চিত্রের দেখা মিলে পুরো হাসপাতাল জুড়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় প্রতিদিন উঠা নামা করছে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন ৬৫‌ জন যার মধ্যে অর্ধেক ডায়রিয়া রোগীর দখলে । অনেকে করোনা সংক্রমণের ভয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছেন না। গত এপ্রিলে ৫'শ জনের ও অধিক ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত মঙ্গলবার (৪ মে) ভর্তি ছিলেন ২৫ জন। যার মধ্যে ১২জন পুরুষ ১৩ জন মহিলা সেদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন । গতকাল (৫-মে) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে ২৬জন যার মধ্যে ১৩জন পুরুষ ও ১৩জন মহিলা।এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১জন।

গত শুক্রবার (৩০-এপ্রিল) থেকে প্রতিদিনই ২০-২৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই বয়স্ক, নারী ও শিশু।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মোহাম্মাদ সাইফুদ্দীন বলেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা ডায়রিয়ার খাবার স্যালাইনসহ অন্য ওষুধ বিতরণ করছেন। যাতে এ ধরনের সমস্যায় পরতে না হয়।

ডায়রিয়ার রোগীরা ভর্তি হলে সুস্থ হতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাত দিন। এই নিয়ে একটু চাপ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সংকটকালীন মুহূর্ত মোকাবেলায় আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রস্তুত রয়েছে। তবে এই সময়টাতে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে, এটি খুবই জরুরি।