শিরোনাম

South east bank ad

দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ

 প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ

খন্দকার রবিউল ইসলাম ( রাজবাড়ী) : রোববার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে লকডাউনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব না মানছে কেউ। স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই ফেরি পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

জানা গেছে, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসির) টিকিট কাউন্টারে ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অপেক্ষমাণ থেকে টিকিট কিনতে হয়। সেখান থেকে ফেরিঘাটের র‌্যাম থেকে সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ঘণ্টা খানেক অপেক্ষা করে ফেরিতে উঠে এসব যানবাহন।

রাজবাড়ী থেকে রাজধানীর ঢাকায় যাওয়া যাত্রী আজাদ রহমান বলেন, বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ এই পথে যাতায়াত করে। লকডাউনের সময় তিনটি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। গাদাগাদি করে ফেরিতে করে নদী পথ পার হতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল যাত্রীদের জন্য লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। সেটি হলে সামাজিক দূরত্ব কিছুটা মানা সম্ভব হতো।

ফরিদপুর অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক মানুষ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। লকডাউন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তাদের বাড়িতে আসা ঠিক হয়নি। তবে পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য।

বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাট শাখার বাণিজ্য বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, শপিংমল খোলার ঘোষণায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকা ফেরত যাত্রী ও ছোট ছোট যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে তিনটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছি। যে কারণে ফেরিঘাট এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আজ জানা যাবে এ রুটে কয়টি ফেরি চলাচল করবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া প্রান্ত দিয়ে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ রয়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ঢাকায় যাচ্ছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের ফেরিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: