শিরোনাম

South east bank ad

মাদারীপুরে ২য় ধাপের সর্বাত্মক লকডাউনে জন সচেতনতা বৃদ্ধি: মাঠে রয়েছে প্রশাসন

 প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

মাদারীপুরে ২য় ধাপের সর্বাত্মক লকডাউনে জন সচেতনতা বৃদ্ধি: মাঠে রয়েছে প্রশাসন

এসএম আরাফাত হাসান ( মাদারীপুর) :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২য় ধাপের ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ প্রথম দিনে জেলা ব্যাপী সর্বাত্মকভাবে চলেছে লকডাউন। সর্বাত্মক লকডাউনে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগের তুলনায় সচেতনতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে মানুষ বের হয়নি।

গতকাল ১৪ এপ্রিল বুধবার সকাল থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ক্রয় করে ঘরে ফিরতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। বন্ধ রয়েছে দোকান-পাট, শপিংমল, গণপরিবহন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে চালু রয়েছে শিল্প-কলকারখানা। তবে কিছু-কিছু ইজিবাইক ও রিকসা চলছে প্রশাসন ও পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক ও জরুরী সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো পরিবহন দেখা যায়নি।

প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর কারণে সাধারণ মানূষ সর্বাত্বক লকডাউনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে মনে করছেন সচেতন মহল। লকডাউন সফল বাস্তবায়নে সকাল থেকে মাদারীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুদ্দিন গিয়াসসহ প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী মাঠে রয়েছেন। জেলা সদর, শিবচর, কালকিনি ও রাজৈর উপজেলায় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানানো হচ্ছে জেলাও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

জেলা-উপজেলার হাট-বাজার, শহর ও শহরতলির সর্বত্র মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে লকডাউন মেনে চলার আহবান জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি জরুরী কাজে যারা বের হচ্ছেন তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে। নিত্যপণ্য ক্রয় শেষ হলে দ্রুত বাড়ি ফেরার অনুরোধ করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া যাত্রী পারাপার করতে দেখা যায়নি। এতোকিছুর পরেও গ্রামীণ জনপদের হাট-বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এ সব হাট-বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। মাস্কপড়া তো দূরের কথা, গাদাগাদি করে কেনাকাটা করতে দেখা দেছে। করোনা বা লকডাউনের কোনো ধরণের প্রভাব পড়েনি গ্রামের হাট-বাজারে।

খোলা রয়েছে মুদি দোকান। রমজানের কারণে বন্ধ রয়েছে ছোট-ছোট চায়ের দোকান ও খাবার হোটেল। গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারে প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে জেলা ও উপজেলার সড়কগুলো প্রায়ই জনশূণ্য। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতা করার দৃশ্যও চোখে পড়েনি।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: