যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন শেখ ফজলে ফাহিম
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনির ভাতিজা ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ।
১৩ পদ খালি রেখে কংগ্রেসের প্রায় এক বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দীর্ঘ সাত বছর পর ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস। এর মধ্য দিয়ে যুবলীগের সভাপতি হিসেবে নেতৃত্বে আসেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মনির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ। সাধারণ সম্পাদক করা হয় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ২৭ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে ২২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচটি পদ ফাঁকা রয়েছে। এই ২২ জনের মধ্যে রয়েছেন— অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, শেখ সোহেল উদ্দিন, ডা. খালেদ শওকত আলী, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, স্বতন্ত্র আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মো. রফিকুল ইসলাম (সাতক্ষীরা), হাবিবুর রহমান পবন (লক্ষ্মীপুর), সাবেক সংসদ সদস্য মো. নবী নেওয়াজ (ঝিনাইদহ), সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, মো. এনামুল হক খান (ময়মনসিংহ), ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন (সিরাজগঞ্জ), মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (ঢাকা), সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার (বরগুনা), সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ (কুষ্টিয়া), ইঞ্জিনিয়ার মৃনার কান্তি জোয়ার্দার (খুলনা), তাজউদ্দিন আহমেদ (পিরোজপুর), সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ), মো. জসিম মাতুব্বর (পিরোজপুর), আনোয়ার হোসেন (যশোর) ও এম শাহাদত হোসেন তাসলিম (কুমিল্লা)।
কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন— বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা (বরিশাল), সুব্রত পাল (কিশোরগঞ্জ), মো. বদিউল আলম (চট্টগ্রাম), ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম (গোপালগঞ্জ) ও মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার (রাজশাহী)।
সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন নয়জন। তাঁরা হলেন— কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম (নরসিংদী), ডা. হেলাল উদ্দিন (শরীয়তপুর), ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ (মাদারীপুর), মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ (নরসিংদী), আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল (চট্টগ্রাম), মশিউর রহমান চপল (মুন্সীগঞ্জ), অ্যাডভোকেট মো. শামীম আল সাইফুল সোহাগ (পটুয়াখালী) ও প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির (ঢাকা)।
প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি জয়দেব নন্দী (খুলনা)। দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ (গোপালগঞ্জ)।
গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ পেয়েছেন জহিরুল ইসলাম মিল্টন (সিরাজগঞ্জ), অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন (ফরিদপুর), শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজিব (গোপালগঞ্জ), আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন (হবিগঞ্জ), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরওয়ার হোসেন (নড়াইল), ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল (রংপুর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামীম খান (বরগুনা), তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুল আলম অনিক (গাজীপুর), সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ (ফরিদপুর), স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান (ঢাকা), তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মীর মো. মহি উদ্দিন (চট্টগ্রাম), জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম (নারায়ণগঞ্জ), ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী পারভেজ (মুন্সীগঞ্জ), পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হারিস মিয়া শেখ সাগর (চাঁদপুর), শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল হাই (নোয়াখালী), কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা (গোপালগঞ্জ), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল মুকিত চৌধুরী (হবিগঞ্জ), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার (বরিশাল) ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মুক্তা আক্তার শরীয়তপুর)।
এ ছাড়া ২১ জনকে ২১টি বিষয়ে উপসম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। ৪১ জনকে দেওয়া হয়েছে সহসম্পাদকের পদ। ৭৫ জন রয়েছেন নির্বাহী সদস্য হিসেবে।