এলএনজিসহ জ্বালানির অন্যান্য উপখাতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী কাতার
করোনাভাইরাসের কারণে চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রফতানি করা এলএনজির মূল্য পুনর্বিবেচনা করে কমাতে কাতারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (৫ অক্টোবর) কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ শেরিদা আল কাবির সঙ্গে অনলাইনে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ অনুরোধ জানান। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ কাতারকে অন্যতম বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়ানো যেতে পারে। জ্বালানি খাতেও সহযোগিতার আরও অনেক ক্ষেত্র আছে যা অন্বেষণ করতে পারলে উভয় দেশই লাভবান হবে।’
এ সময় তিনি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে প্রদত্ত এলএনজির মূল্য পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানান।
এসময় কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কাতার এলএনজিসহ জ্বালানির অন্যান্য উপখাতে বাংলাদেশে কাজ করতে চায়।’
কাতার থেকে এলএনজি আমদানির জন্য একটি চুক্তি অনুস্বাক্ষর করেছে পেট্রবাংলা। গত ১৭ জুলাই ঢাকায় কাতারের রাসগ্যাসের সঙ্গে পেট্রোবাংলা চুক্তিটি সই করে। চুক্তি অনুযায়ী রাসগ্যাস ১৫ বছর ধরে, প্রতিবছর ২৫ লাখ টন করে এলএনজি বাংলাদেশে সরবরাহ করবে। এর দাম নির্ধারিত হবে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম অনুযায়ী। এভাবে দাম নির্ধারণের একটি ফর্মুলায় দুই পক্ষই একমত হয়েছে।