শিরোনাম

South east bank ad

পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী

 প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারী ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

রবি ও বোরো চাষে যাতে সেচের পানির অভাব না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার। সেচ খরচ কমানো ও আধুনিকায়নের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৬০ লাখ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

রোববার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিএডিসি মিলনায়তনে 'ভূগর্ভস্থ পানি মনিটরিং ডিজিটালাইজেশন' শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়নে জরিপ ও পরিবীক্ষণ ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের আওতায় এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। সেমিনারে বিএডিসি জানিয়েছে, গত ১০ বছরে সেচ এলাকা সম্প্রসারণ হয়েছে ১০ দশমিক ৫০ লাখ হেক্টর। খাল পুনর্খনন করা হয়েছে ৯ হাজার ৪৫৭ কিলোমিটার। সেচনালা স্থাপন হয়েছে ১৩ হাজার ৩৫১ কিলোমিটার। ১০টি রাবার ড্যাম ও একটি হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে সেচ এলাকা ৫৬ দশমিক ২৭ লাখ হেক্টর, সেচ দক্ষতা ৩৫ থেকে ৩৮ শতাংশ এবং ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার ২১ থেকে ২৭ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। সেচযোগ্য জমির ৭৩ শতাংশ সেচের আওতায় এসেছে।

সেচের আধুনিকায়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বিএডিসি জানিয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৬০ লাখ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা হবে। সেচ দক্ষতা ৩৮ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীতকরণ, সেচকাজে ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার ৩০ শতাংশে উন্নীত এবং ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার ৭০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকারের আমলে দেশে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ, সেচ খরচ হ্রাস ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। পানির টেকসই ব্যবহার ও পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। নদী-খাল খনন ও পুনর্খনন, রাবার ড্যাম, জলাধার নির্মাণ, পানি সাশ্রয়ী পদ্ধতির ব্যবহারসহ অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে সরকার। ফলে ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

বিএডিসির চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে কৃষি সচিব মেসবাহুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেচ ও পানি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মজিদ, সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুলল্গাহ খান, প্রকল্প পরিচালক জাফর উল্লাহ ও বিএডিসির সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্র সেচ) মো. আরিফ বক্তৃতা করেন।

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: