২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন এমন ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী দিনেও তিনি কমলা হ্যারিসকেই রানিংমেট হিসেবে রাখতে চান। খবর বিবিসির
বয়স ও শারীরিক অবস্থার কারণে বাইডেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চাইবেন কি না এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল। একই সঙ্গে এ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অভিবাসীদের ঢল, পররাষ্ট্রনীতি, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি। বাইডেন বলেন, করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে তার প্রশাসনের লক্ষ্য হলো প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে ২০ কোটি টিকা দেওয়া।
এই সংবাদ সম্মেলনের বেশির ভাগ অংশজুড়েই ছিল যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত ইস্যু। ঐ সীমান্তে মানবিক সংকটের জন্য তিনি তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেন এবং বলেন ঐ সীমান্তে শীতের সময়ে অভিবাসী বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক। এসব অভিবাসী আসার জন্য তিনি তাদের দেশের অবস্থা বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অপরাধ ও অর্থনৈতিক সুযোগের অভাবকেও দায়ী করেন। কখন তিনি সাংবাদিকদের জন্য সরকার পরিচালিত ডিটেনশন ক্যাম্পগুলো উন্মুক্ত করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, তিনি এ বিষয়ে স্বচ্ছতা দেখাবেন।
বাইডেন বলেন, সব কিছুতেই আপনাদের প্রবেশাধিকার থাকবে। যদিও কবে নাগাদ সেটি হবে তার কোনো সময়সীমা তিনি উল্লেখ করেননি। ১৭ হাজারেরও বেশি শিশুকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিচালিত এসব ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
আফগানিস্তান ও চীন প্রসঙ্গ: পহেলা মে-তে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের অঙ্গীকারের বিষয়ে জো বাইডেন বলেন, সময়সীমা রক্ষা করা হবে খুব কঠিন কাজ। আমরা ছেড়ে আসব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কখন ছাড়ব। কিন্তু আমরা দীর্ঘ সময় থাকব না। সংবাদ সম্মেলনে চীনের সঙ্গে চলা বাকযুদ্ধের বিষয়টিও উঠে এসেছে। তবে জো বাইডেন বলছেন, আমি কোনো সংঘাত চাইছি না। তবে তিনি দেশটির নীতির কঠোর সমালোচনা করেন।