জানুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি কমেছে

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গত জুলাই থেকে রপ্তানিতে গতি বাড়লেও অক্টোবর থেকে ফের কমতে শুরু করেছে। সর্বশেষ জানুয়ারিতেও পূর্বের বছরের জানুয়ারি থেকে রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এছাড়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে রপ্তানি কমেছে ১৮ কোটি ডলারের যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। এছাড়া চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রপ্তানি কমেছে প্রায় ২৫ কোটি ডলারের।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, আগামী মাসগুলোতেও রপ্তানি বাড়ার তেমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের নতুন করে ভাবাচ্ছে কাঁচামালের বাড়তি দাম। সূত্র জানিয়েছে, সুতার দাম গত কয়েক মাসের ব্যবধানে অনেক বেড়ে গেছে, কিন্তু এই বাড়তি দাম দিতে চাইছে না বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান (বায়ার)।
অন্যদিকে অর্থনীতিবিদরাও আগামী জুনের আগে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্বাভাবিক চেহারা ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন না। ফলে স্বাভাবিক রপ্তানির গতি দেখতে হলে চলতি বছরের প্রথমার্ধ পার হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের। পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, করোনার টিকার প্রয়োগ শুরু হওয়ায় কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য চলতি বছরের প্রথমার্ধ পার হয়ে যাবে। ফলে রপ্তানির ওপরও এর প্রভাব থাকবে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গত বছরের মার্চ থেকে রপ্তানি ব্যাপকভাবে কমে যায়।
অর্থবছর শেষে হিসাব করে দেখা গেল, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি কমে গেছে আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৭০ কোটি ডলার বা প্রায় ৪৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গত অর্থবছর রপ্তানি হয়েছিল ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের। চলতি বছরের গত সাত মাসে ২ হাজার ৩৪৮ কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ২৬৭ কোটি ডলারের। গত সাত মাসে পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি কমেছে প্রায় ২৫ কোটি ডলারের। আলোচ্য সময়ে রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ।