শেরপুরে তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের আর্থিক অনুদান দেন জেলা প্রশাসক
ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় ভারত সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের প্রায় ২০ হাজার সদস্যরা বসবাস করেন। শত শত বছর ঐতিহ্য ধরে রেখে তারা নিজেরাই নিজেদের পোশাক তৈরি করে থাকেন।
তাঁতশিল্পে এখন দুর্দিন চলছে। একটা সময় ছিল গারো পাহাড়ের বিভিন্ন পল্লিতে দিন-রাত তাঁতের খটখট আওয়াজ পাওয়া যেত। তাঁতশিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগর ও তাঁতের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।এখন গ্রামগুলোতে ধ্বংসস্তূপের মতো পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁত মেশিনগুলো। স্থানীয় গারো, কোচ, ডালু, বানাই, হদি, বর্মণসহ সবাই নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক নিজেরাই তৈরি করতেন।
ভারত সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকা নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীসহ জেলা সদর ও নকলা উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের বসবাস। জীবিকার তাগিদে তারা তাঁতশিল্প ছেড়ে এখন অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁত সুতার মূল্য বাড়ানোসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, বিশেষ করে গারো ও কোচ সম্প্রদায়ের মানুষ প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর আগেই তাদের ঐতিহ্যের তাঁত বন্ধ করে দিয়েছেন।
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর জনগণের মধ্যে গতকাল বুধবার ১৬ জুন ২০২১ইং তারিখ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব তাদের জীবন মান সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন এবং তাদের তাঁত শিল্পের উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদান দেন।
h