৫০ জন ট্রান্সজেন্ডারকে চাকরি দিল পাঠাও

স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের ঐতিহাসিক মুহূর্তে রাজধানীর গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কে সোমবার (২৯ মার্চ) পাঠাও এবং এপেক্স আয়োজন করল ‘স্বাধীনতা সবারই’ নামে বিশেষ অনুষ্ঠান।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- আসাদুজ্জামান নূর এমপি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, পাঠাও এর প্রেসিডেন্ট ফাহিম আহমেদ, ‘ট্রান্সএন্ড’ এর সিইও লামিয়া তানজীন তানহা, ট্রান্সজেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট শোভা সরকার, মিতু প্রমুখ।

এই আয়োজনে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের ৫০ জনকে পাঠাও ফুড- এ ডেলিভারিম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ দেবার পূর্বে পাঠাও কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপেরও ব্যবস্থা করে। উক্ত আয়োজনে পাঠাও ও এপেক্স এর সৌজন্যে উপহার হিসেবে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় আইডি কার্ড, টিশার্ট, স্মার্টফোন, ফুড ব্যাগ ও বাইসাইকেল।

ডিএনসিসি’র মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা, সুস্থ সচল আধুনিক ঢাকা’ এই স্লোগানের আদলে পাঠাও ও এপেক্স এর উদ্যোগের আন্তরিক প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, উত্তর সিটি কর্পোরেশন ট্রান্সজেন্ডারদের পাশে ছিল, রয়েছে ও ভবিষ্যতে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কাজের সংস্থানে পূর্ণ সহযোগিতা দিবে।

ইভেন্টটির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে মেয়র বলেন, স্বাধীনতা সবারই। আজ যারা ফুডম্যান হিসেবে নিয়োগ পেলেন ভবিষ্যতে তারাই গাড়ি চালানোসহ আরও নানামুখী কাজে অংশ নিবেন।

অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমরা পাচ্ছি অভিনন্দন ও প্রশংসা। কিন্তু এই অগ্রগতির সাথে প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন। আমি পাঠাওকে সাধুবাদ জানাই এমন একটি আয়োজন করার জন্য ও ৫০ জন ট্রান্সজেন্ডার আয়ের সুব্যবস্থা করার জন্য। আপনাদের সাথেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

পাঠাও প্রেসিডেন্ট ফাহিম আহমেদ বলেন, আমি মনে করি দেশের পঞ্চাশতম স্বাধীনতা উদযাপনের সঠিক উপায়, দেশের নাগরিকদের জন্য কিছু করা ও দেশকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখতে সচেষ্ট হওয়া। এই ইতিবাচক পরিবর্তন এর সঙ্গী হিসেবে আমাদের মতাদর্শের সাথে যায় এমন কিছু করার সুযোগ পেয়ে আমরা আনন্দিত। আমরা এগিয়ে গেলেই, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

এপেক্স এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ক্ষমতায়ন হচ্ছে এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র। একটি সমাজ তখনই সমৃদ্ধ হতে পারে যখন প্রত্যেক ব্যক্তি- বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে – স্বীকৃত এবং ক্ষমতায়িত হতে পারে। চলুন দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাই এবং মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে শিখি। আমরা সবাই মানুষ, সবারই একটা গল্প আছে, আর প্রত্যেকের গল্পই গুরুত্বপূর্ণ। আত্মার কোনও লিঙ্গ হয় না। প্রকৃত সাহস হচ্ছে অন্যকে অনুকরণ না করে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখা এবং তা কাজের মধ্যে ফুটিয়ে তোলা।