ইজিবাইক চালকে গলা কেটে হত্যা

গোলাম মোস্তফা মুন্না, (যশোর) :

আব্দুল্লাহ (১৮) নামে এক ইজিবাইক চালককে মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাতে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। সে যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মোজাদাদুজ্জামানের ছেলে। আব্দুল্লাহ যশোরে মুসলিম এইড ইনস্টিটিউটের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনার পাশাপাশি ইজিবাইক চালাতো। পুলিশ ঘটনার সাথে একজনকে আটক করেছে। একই সাথে নিহতের মোবাইল ফোনসেট ও ধারালো চাকু উদ্ধার করেছে। আটক হাসিবুর রহমান হাসিব যশোর শহরের পূর্ববারান্দি নাথ পাড়ার ফারুক হোসেনের ছেলে। ইজিবাইক চালককে হত্যার প্রতিবাদে বুধবার শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে।

নিহতের পিতা মোজাদাদুজ্জামান জানান, দুইছেলের মধ্যে আব্দুল্লাহ ছোট। লেখাপাড়ার পাশপাশি সে ইজিবাইক চালাতো। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে সে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়। তার মাকে সন্ধ্যার সময় যশোর শহরে ডাক্তার দেখানোর কথা ছিলো। বিকেলে তার মোবাইলে ফোন দিলে সে যাত্রী নিয়ে ঝিকরগাছার গদখালীতে গেছে বলে জানায়। সন্ধ্যার দিকে সে ফিরে আসে এবং ঘুরুলিয়া সাদ্দামের মোড়ে আবস্থার করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সে বাড়ির দিকে রওনা হয়। কিন্তু আর ফেরেনি। রাত ১০ টা পর্যন্ত না ফেরায় বাড়ির ও এলাকার লোকজন খোঁজখবর করতে থাকে। এক পর্যায়ে ঘুরুলিয়া থেকে ছোট গোপালপুর বেলের মাঠে রাস্তার পাশে গভীর রাতে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে সংবাদ দেয়। ভোররাতে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আব্দুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছিল। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাসিবুর রহমানকে আটক করে। সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তার সঙ্গী আরিফ পলাতক রয়েছে। ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক ও একটি চাকু এবং নিহতের একটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হাসিব ও আরিফ ঘুরুলিয়ার মোড়ে দাড়িয়েছিলো। সুলতানপুরে যাওয়ার কথা বলে আব্দুল্লাহর ইজিবাইকটি ভাড়া করে। বেলের মাঠে পৌছালে আরিফ প্রথমে আব্দুল্লাহকে মারপিট করে। তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে দুইজনে মিলে আব্দুল্লাহর গলা কেটে লাশ ফেলে দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয়। আসামি হাসিব একটি কসমেটিকসের দোকানের কর্মচারি আর আরিফ পাইপ মিস্ত্রি।

এদিকে ইজিবাইক চালক আব্দুল্লাহকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইজিবাইক চালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির সদস্যরা। বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে তারা হত্যাকারীদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।