পাবনা চেম্বার অব কমার্সের কমিটির বিরুদ্ধে নাগরিক মঞ্চ’র সংবাদ সম্মেলন

সুশান্ত কুমার সরকার, (পাবানা) :

পাবনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডষ্ট্রিজে অবৈধ উপায়ে কমিটি গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়ার প্রতিবাদে এবং প্রশাসক নিয়োগ করে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পাবনা নাগরিক মঞ্চ। রবিবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে পাবনার ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধি মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ উপস্থিতি ছিল। অবৈধ কমিটি পাস হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে বক্ততারা।

সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব কমরেড জাকির হোসেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক মঞ্চ’র সভাপতি মোঃ ইদ্রিস আলী বিশ্বাস, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, পৌরসভার মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধান, শফিক গ্রুপের মালিক শাফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহলের হাতে জিম্মি। তারা সাধারণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ না করে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে যথেচ্ছার ব্যবহার করে থাকেন। কোন পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন বা নোটিশ বোর্ডে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ না করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষে ইতোমধ্যে তারা অতি গোপনে একটি পুতুল কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য নেয় এবং গোপনে নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করে একান্তভাবে তাদের ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন জ্ঞাত ছিল।

আমরা উক্ত বিষয় গোপনে জানতে পারেও নির্দিষ্ট তারিখে মনোনয়নপত্র কিনতে গেলে চেম্বার অব কমার্সে সচিব বলেন, ‘আমরা নির্বাচন তফসিল ঘোষনা করেনি।’ আমরা উক্ত বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করিলে চেম্বার কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন যে, অতি দ্রুত সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিব। কিন্তু চেম্বার কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি ওয়াদা পালন না করে অতি গোপনে ২৪-১০-২০২১ তারিখে একটি ভুয়া নির্বাচনের কাগজপত্র তৈরি করে একটি পুতুল কমিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। তা সাধারণ ভোটারদের সাথে প্রতারণা সামিল। আমরা আপনাদের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন রাখছি, উক্ত ভূয়া কমিটির অনুমোদন স্থগিত করে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করছি।